সকালের নাস্তায় গাজরের জুস খাওয়ার উপকারিতা
স্বাস্থ্য ডেস্ক:
প্রতিটি মানুষ সুস্থ স্বাভাবিক জীবন চায়। আর শরীর সুস্থ রাতে শাকসবজির কোনো বিকল্প নেই। তেমনিই একটি সবজি হলো গাজর, এই সবজির মধ্যে যে কতগুণ আছে তা যদি আপনি জানতেন তবে সকাল, বিকেল, রাত যে খাবারই খান না কেন তাতে গাজর থাকাটা বাধ্যতামূলক করে দিতেন নিশ্চিত।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যদি গাজর থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টিটা পেতে হয় তবে কাচা গাজর খাওয়াই সর্বোত্তম। তাই গাজরের জুস বানিয়ে খেলেই পাওয়া যাবে গাজরের সর্বোচ্চ পুষ্টি উপাদান। ভারতের অনলাইন পত্রিকা এনডিটিভির এক খবরে গাজরের জুসের পুষ্টিগুণ ও উপাদান নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গাজরের জুস আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করবে কয়েকগুণ। গাজরের জুসের পাঁচটি উপকার দেওয়া হলো প্রথম আলোর পাঠকদের জন্য,
ভিটামিন সি-এর উৎপাদন বাড়ায়
যারা সহজেই সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হন, তারা প্রতিদিন গাজরের জুস পান করতে পারেন। গাজরে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি থাকে। এই ভিটামিনে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গাজরে থাকে ভিটামিন বি৬, যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। তাই নিয়মিত গাজরের জুস খেলে সংক্রমণজনিত রোগে ভোগান্তির আশঙ্কা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হজমে সহায়তা
গাজরে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। তাই গাজরের রস পান করলে পেট সংক্রান্ত অনেক সমস্যাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। শরীরে মে থাকা দূষিত পদার্থ দূর করতেও সাহায্য করে গাজরের রস।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
গাজরে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় গাজর খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। বার বার খাওয়ার প্রবণতাও কমে। তাই যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তারা খাদ্যতালিকায় গাজরের জুস রাখুন।
চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
গাজরে ভরপুর বিটা ক্যারোটিন থাকে, যা চোখের জন্য ভীষণ উপকারী। এতে লুটেইন ও জিয়াক্সানথিন নামক ক্যারোটিনয়েড জাতীয় উপাদান থাকে যা ক্ষতিকর আলোকরশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করে। বার্ধক্যজনিত দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি কমাতেও কাজ করে গাজর। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় গাজর কিংবা গাজরের জুস রাখতে পারেন।
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়
গাজর ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। কোলাজেন বাড়লে ত্বক সুন্দর থাকে। গাজরে থাকা ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকেও ত্বকের কোষকে রক্ষা করে।