লেবাননে চার দিনে ২৫০ যোদ্ধা নিহত
আন্তজার্তিক ডেস্ক: লেবাননে আকাশ ও স্থলপথে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। রাজধানী বৈরুতের পাশাপাশি দেশটির সীমান্ত এলাকায়ও বোমাবর্ষণ করছে তারা। আজ বৈরুতেও ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। হামলা হয়েছে রাজধানীর দক্ষিণ উপকণ্ঠের কাছে লেবাননের একমাত্র বাণিজ্যিক বিমানবন্দর বৈরুত-রাফিক হারিরি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে। এ ছাড়া ইহুদিবাদীদের হামলায় গত ১ অক্টোবর দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অন্তত ২৫০ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। নিহতদের মধ্যে গোষ্ঠীটির বিভিন্ন পর্যায়ের কমান্ডার ছিলেন ২১ জন, বাকিরা সবাই সাধারণ যোদ্ধা।এছাড়া গত চার দিনে লেবাননে হিজবুল্লাহর দুই হাজারেরও বেশি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। আইডিএফ এক্স পোস্টে জানায়, গত চার দিনে হিজবুল্লাহর ২৫০ জন সন্ত্রাসীকে হত্যার পাশাপাশি গোষ্ঠীটির দুই হাজারেরও বেশি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি সেনারা। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন হিজবুল্লাহর ব্যাটালিয়ন কমান্ডার, ১০ জন কোম্পানি কমান্ডার এবং ৬ জন প্ল্যাটুন কমান্ডার ছিলেন। অভিযানে স্থলবাহিনীকে সহযোগিতা করছে বিমানবাহিনী।ইরানের সমর্থন ও মদতপুষ্ট হিজবুল্লাহ বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী। লেবাননভিত্তিক এই গোষ্ঠীটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই এই গোষ্ঠীটি ইসরায়েল রাষ্ট্রকে ধ্বংসের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের অপর পাড়েই লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল। এই অঞ্চলটি হিজবুল্লাহর প্রধান ঘাঁটি এবং গোষ্ঠীটির অধিকাংশ সামরিক স্থাপনার অবস্থান এই অঞ্চলে। গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ। পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করে ইসরায়েলও। গত এক বছরে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে লেবাননে প্রাণ হারিয়েছেন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। এই নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা পাঁচ শতাধিক।