ভোগদখলীয় সম্পত্তি ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ভুক্তভোগী অসহায় পরিবার
পাইকগাছা প্রতিনিধি:নিজেদের ভোগদখলীয় সম্পত্তি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দখল ফিরে পেতে প্রশাসন সহ বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরছে পাইকগাছার গোপালপুর গ্রামের ভুক্তভোগী অসহায় পরিবার। অসহায় পরিবারের দীর্ঘ দিনের ভোগদখলীয় দোকান ঘর সহ ৬ শতক জমি একই এলাকার মৃত নিজাম সরদারের ছেলে হাফিজুল সরদার প্রায় ৯ বছর জোরপূর্বক দখলে রেখেছে এমন অভিযোগ এনে দখল ফিরে পাওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টা সহ কয়েকটি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মৃত শাহজাহান আলী মোড়লের ছেলে ভুক্তভোগী হায়দার আলী মোড়ল। প্রাপ্ত অভিযোগের কথা উল্লেখ করে হায়দার আলী মোড়ল বলেন গোপালপুর মৌজার বিআরএস ৩৭৩ ও ৯৭৭ খতিয়ানের ১২৪ দাগে প্রধান সড়কের পাশে আমাদের ৬ শতক জমি রয়েছে। ২৯৫১/১৯৯৭, ৩৩৮/১৯৯৮ এবং ৫০৬৭/১৯৯৯ নং সহ ৩ টি কোবলা দলিল মূলে আমার বড় ভাই সাজ্জাদ মোড়ল, ছোট ভাই মোস্তফা ও আমার নামে খরিদ করি। জমি অনেকটাই নীচু থাকায় খরিদ করার পর তা ভরাট করা হয়। এরপর সেখানে বসত ঘর ও দোকান ঘর নির্মাণ করে ১৯৯৭ সাল থেকে খরিদকৃত জমিতে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস সহ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলাম। বর্তমান জরিপে ৫ শতক জমি জমি আমাদের নামে রেকর্ড ও হয়েছে। টানা ১৯ বছর ভোগদখলে থাকা অবস্থায় ২০১৫ সালের শেষের দিকে প্রতিপক্ষ গোপালপুর গ্রামের নিজাম সরদার ও তার ছেলে হাফিজুল সরদার লোকজন নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আমাদের উপর হামলা করে। এসময় তারা ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করা সহ আমাদের ২০ বছরের ভোগদখলীয় সম্পত্তি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান জোরপূর্বক জবরদখল করে নেয়। এ ঘটনায় তাদের পিতা- পুত্রের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ৩১/২০১৫ ও ৩৫/ ২০১৫ নং মামলা করা হয়।
প্রতিপক্ষরা প্রভাবশালী হওয়ায় তারা ক্ষমতার জোরে এত বছর আমাদের জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে রেখেছে। হায়দার মোড়ল বলেন সরকার পরিবর্তনের পর গত ৩০ আগস্ট আমি হাফিজুলের নিকট গিয়ে আমাদের জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে দিতে বললে আমাকে মারপিট করতে উদ্যত হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। সর্বশেষ নিরুপায় হয়ে জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফিরে পেতে গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা, খুলনা জেলা প্রশাসক, র্যাব-৬ এর অধিনায়ক, জেলা পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সেনাবাহিনীর ক্যাম্প ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ করেছি। এ প্রসঙ্গে প্রতিপক্ষ হাফিজুল সরদার বলেন অভিযোগ সঠিক নয়, এটা আমাদের কেনা সম্পত্তি। আদালতে আমানত করা হয়েছিল। আদালতের মাধ্যমে আমরা দখল বুঝে পেয়েছি বলে তিনি জানান। এদিকে ভোগদখলীয় সম্পত্তি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ফিরে পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অসহায় হায়দার আলীর পরিবার।