সেপ্টেম্বরে গণপিটুনিতে ২৮ জনের মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক:
সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে দেশে অন্তত ২৮ জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরো ১৪ জন। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) মাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবারে প্রকাশিত এইচআরএসএসর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে মানবাধিকারের কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি হলেও, সামগ্রিকভাবে এ অগ্রগতি অপর্যাপ্ত। কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে ৮৩টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং ২৩টি ছিল বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ। নিহতদের মধ্যে ১১ জন বিএনপির এবং ৫ জন আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও হামলায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের আরো আটজন নিহত হয়েছেন।
জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বা হেফাজতে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে, খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর গুলিতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের দুই সদস্যসহ মোট নয়জনকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়। এর মধ্যে আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে এক পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাও রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে নির্যাতনে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন গাইবান্ধার সোহরাব হোসেন ওরফে আপেল (৩৫) ও শফিকুল ইসলাম (৪৫), ময়মনসিংহে যুবদল নেতা সাইদুল ইসলাম (৪০) ও গোপালগঞ্জে এলাহী শিকদার (৪০)।
প্রতিবেদনে আরো জানায়, এ মাসটিতে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দু’জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন– মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ১৪ বছর বয়সী স্বর্ণা দাস ও ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ১৫ বছর বয়সী জয়ন্ত কুমার সিনহা।
গত মাসে অন্তত ৪৪টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৫ জন কিশোরী; ১৮ নারী ও কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। চারজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে; একজন আত্মহত্যা করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনগণের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে যাবে।
সূত্র: ডেইলি স্টার