সরকারি চাকরিতে বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা রয়েছে: পর্যালোচনা কমিটির প্রধান

অনলাইন ডেস্ক:
সরকারি চাকরিতে বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা রয়েছে। তবে কতটুকু বৃদ্ধি করা উচিত তা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ৩৫ বছর করার বিষয়ে গঠিত পর্যালোচনা কমিটির প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।

আজ বুধবার সচিবালয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ৩৫ বছর করার বিষয়ে গঠিত পর্যালোচনা কমিটির প্রথম বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে মুয়ীদ এসব কথা বলেন।

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে গেল ৩০ সেপ্টেম্বর আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে গেলে তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এরপর ওই দিনই একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দুই সদস্যের পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। যার প্রধান করা হয় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে।

বেলা ১১টায় বৈঠকে অংশ নেন আন্দোলনকারীদের ৮ জন প্রতিনিধিসহ কমিটির সদস্যরা। প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্তের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনকারীরা জানান, পর্যালোচনা কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর সরকারের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন তারা।

পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন কমিটির প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। সরকারি চাকরিতে বাড়ানোর বিষয়ে যৌক্তিকতা তুলে ধরেন তিনি। কী যৌক্তিকতা আছে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোভিড, সেশনজটে অনেকের সমস্যা হয়েছে। এখনকার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো উচিত।

আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পরই জনপ্রশাসন বিভাগে সংস্কার কাজ শুরু হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)