রাজনৈতিক পট পরিবর্তন: শ্যামনগরে প্রশাসনের উচ্ছেদকৃত স্থানে পুনরায় স্থাপনা নির্মাণ
আশিকুজ্জামান লিমন:
শ্যামনগরের নওয়াবেঁকী বাজারের সুইচ গেট সংলগ্ন স্থানে ৩ ডিসেম্বর ২০২৩ সালের স্থাপনা নির্মাণ করলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হয় ।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে সরকার পতনের মাধ্যম ও রাজনৈতিক পট পরিবর্তন কে পুঁজি করে আবারও একয়ি স্থানে স্থাপনা নির্মাণ করছে।
৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার সরজমিন নওয়াবেঁকীতে গিয়ে দেখাযায় ঐতিহ্যবাহী এ বাজারে নৌ পথে আসা সকল মুদি মালামাল ওঠানোর পথে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছে আমিরুলর ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি।
এদিকে সরকারি পেরিফেরিভুক্ত জায়গা নিয়ে এমন অনিয়ম আর আইন বিরুদ্ধ কর্মকান্ড প্রকাশ্যে চললেও ‘পা’ ফেলা দুরত্বে অবস্থিত ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্তব্যক্তিদের নজরে তা কোনভাবে আসছেই না।
অভিযোগ রয়েছে আমিরুল ইসলামের ব্যাবসায়ীক পাটনার মনিরুজ্জামান মনি নওয়াবেঁকী বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদকের প্রভাব খাটিয়ে এ কাজ চাল্লাছেন।
স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যাবসায়ী জানায় আমাদের বেশিরভাগ মালামাল আসে খুলনা থেকে নৌকাযোগে উঠানোর পথ এমনিতেই সংকুচিত হয়ে গেছে তারপর আবার পথে ঘর করতেছে এবার তো আরো বেশি সমস্যা হবে,প্রশাসনের সু দৃষ্টি কমনা করছি।
নওয়াবেঁকী বাজারের পেরিফেরিভুক্ত জায়গায় ইজারা শর্ত ভঙ্গ করে গড়ে উঠেছে নকশা বহির্ভুত শতাধিক পাকা স্থাপনা। কোন কোন জয়গায় ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে বরাদ্দের তুলনায় বেশী জায়গা দখল করে নেয়া হয়েছে। আবার পেরিফেরিভুক্ত জায়গায় স্থাপনা নির্মানের শর্ত লংঘন করে দোতলা ও তিনতলা ভবন পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত, দীর্ঘ দিন ধরে এমন অপলেলা ও নৈরাজ্য চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে যেন নিরব।
স্থাপনা নির্মাণকারী আমিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভাব হয়নি কাছে জানতে চাইলে বলেন আমার সকল কাগজ পত্র আছে তাই করছি।
নওয়াবেঁকী বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি জানায় ওখানের কাগজ পত্র আছে তাই কাজ করছে ওটা আমি করতেছি।
এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সনজিত দাস বলেন বিষয়টি দেখছি।