সাতক্ষীরায় বিভিন্ন দাবিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
নিজস্ব প্রতিনিধি : “বৈষম্য নিপাত যাক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মুক্তি পাক” এই প্রতিপাদকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক নিম্নমানের বৈদ্যুতিক মালামাল ক্রয় ও সরবরাহ, প্রয়োজনীয় মালামাল ও জনবলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে গ্রাহক পর্যায়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে হয়রানি করার প্রতিবাদে এবং গ্রাহক প্রান্তে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দ্বৈতনীতি পরিহার পূর্বক বিআরইবি-পিবিএ একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকুরী বিধি প্রণয়ন ও সকল চুক্তিভিত্তিক /অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকুরী নিয়মিতকরণের দাবি দ্রæত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শতভাগ গ্রাহক সেবা চালু রেখে সারা দেশে একযোগে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের আয়োজনে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা পবিস এজিএম (অর্থ) চঃদাঃ মো. নুরুল আলম, পবিস এজিএম (প্রশাসন) মো. জাহিদ হাসান, এজিএম (ওএন্ডএম) মো. মনজুরুল আক্তার, এজিএম (এমএস) মো. সাইফুল ইসলাম, ডিজিএম ঝাউডাঙ্গা জোন মো. রফিকুল ইসলাম, ডিজিএম আশাশুনি জোন নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও ডিজিএম (কারিগরি-সদর) মো. মকছেদুল মমিন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “বৈষম্যমুক্ত নতুন দেশ গড়ার প্রত্যয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারও দেশের প্রতিটি সেক্টরকে সংস্কারের সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর একটি সভা অনুষ্ঠিত হলেও আরইবি’র পক্ষ থেকে রিফর্ম সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব দাখিল করা হয়নি। এছাড়া আর্থিক জটিলতা না থাকা সত্তে¡ও চুক্তিভিত্তিক/অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের বিষয়েও বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ত্বরিত সমাধানে অনীহা প্রকাশ করে। শুধু তাই নয়; আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ দেশের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির যৌক্তিক আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে তারা। বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েক মাস যাবত প্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয় ও সরবরাহের ব্যবস্থা না করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে বিদ্যুতায়ন বোর্ড। যে কারণে মাঠ পর্যায়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো মালামালের অভাবে (মিটার, ট্রান্সফরমার, তার ইত্যাদি) নতুন সংযোগসহ সঠিকভাবে গ্রাহক সেবা প্রদান করতে পারছে না, ফলে গ্রাহক সেবা বিঘিœত হচ্ছে। তাদের দাবি না মেনে নিলে পহেলা অক্টোবর থেকে বাপবি বোর্ডের সাথে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল ধরনের যোগাযোগ, তথ্য সরবরাহ (দুই দফা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়াদি ব্যতীত) থেকে বিরত থাকার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বৈষম্য, শোষণ, নির্যাতন ও নিপীড়ন থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মুক্তি এবং দেশের ১৪ কোটি মানুষের নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সেবা প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে তাদের এ কর্মসূচি বলে জানিয়েছেন তারা। এসময় তারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোতে বেতন বৈষম্য, মানহীন ও নিম্নমানের মালামাল সরবরাহের কারণে ভঙ্গুর বিতরণ ব্যবস্থা নিরসনসহ অভিন্ন চাকরি বিধি ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানান।” মানববন্ধন শেষে স্থানীয় সরকার বিভাগ সাতক্ষীরার উপপরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাশরুবা ফেরদৌস’র নিকট স্মারবলিপি প্রদান করেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।