শরীরে নেই আঘাতের চিহ্ন, নাসরুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
লেবাননের বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হিজবুল্লাহ প্রধান সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে লেবাননের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়। তারা জানান, ওই সময় হাসান নাসরুল্লাহর দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে যেখানে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছিল, সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর মরদেহ।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রের বরাতে রয়টার্স বলছে, উদ্ধারের সময় হাসান নাসরুল্লাহর শরীর অক্ষত ছিল। যদিও শনিবারের বিবৃতিতে এই নেতার মৃত্যুর সঠিক কারণ উল্লেখ করেনি হিজবুল্লাহ। এমনকি শেষকৃত্যের ব্যাপারেও কিছু বলা হয়নি। তবে, ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়।
দুটি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, নিহত হিজবুল্লাহ প্রধান সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহর শরীরের বাইরের দিকে আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না। এ কারণে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না। সেখানে একের পর এক বিস্ফোরণের বিকট শব্দে টিকতে না পেরে শ্বাস বন্ধ হয়ে তিনি মারা যেতে পারেন।
এদিকে, আজ রোববার আবারও লেবাননের বৈরুতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এবার হামলা হয়েছে দাহিয়েহ এলাকাতেও। ইসরায়েল দাবি করেছে, এবারও হিজবুল্লাহর ঘাঁটি ও অস্ত্রাগারে হামলা হয়েছে। হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছে লেবাননের কর্তৃপক্ষও।
এর আগে গত শুক্রবার রাতভর লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে নিহত হন হাসান নাসরুল্লাহ। তিনি তিন দশকের বেশি সময় ধরে সংগঠনটির নেতৃত্বে ছিলেন।
গত বছর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে নিয়মিত পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েল।
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে লেবাননে হামলা বাড়ায় ইসরায়েল। হামলায় এখন পর্যন্ত দেশটিতে নারী, শিশুসহ প্রায় ৮০০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বহু মানুষ।
এ ছাড়া দেশটিতে প্রায় ১০ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে বলে জানিয়েছে লেবানন সরকার।