চেক ডিজঅনার মামলায় আড়াই কোটি টাকা অর্থদণ্ড
অনলাইন ডেস্ক:
ব্যাংকে টাকা নেই, জানা সত্ত্বেও চেক দেওয়ায় চেক ডিজঅনারের মামলায় এক ব্যক্তিকে আড়াই কোটি টাকা অর্থদণ্ড ও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ফেরদৌসি বেগম এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী আল হেলাল।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. মন্টু (৩৭) বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার কিসমত জামুয়া গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে। বর্তমানে আসামি ঢাকার চকবাজারের এম আর জে কর্পোরেশন ১৩০/১ বিরেন এলাকার বসবাস করছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি মন্টু আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী মানিক সরদারের সাথে আসামির ব্যবসায়িক সূত্রে পরিচয় হয়। সেই সুবাদে মন্টু বাদীর কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকা ধার নেয়। পরে মন্টু বাদী মানিক সরদারকে নগদ টাকা না দিয়ে পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের একটি আড়াই কোটি টাকার চেক দেয়। পরে টাকা উত্তোলনের জন্য মানিক ওই চেক ব্যাংকে জমা দিলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায় তার অ্যাকাউন্টে টাকা নেই।
পরে এ ঘটনায় মানিক সরদার আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করে ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রাপ্ত হওয়ার পর আদালতে হাজিরা দিলেও পরে আসামি পলাতক হন।
ওই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসামি মন্টুকে দোষী সাব্যস্ত করে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও আড়াই কোটি টাকা অর্থদণ্ড প্রদানের রায় ঘোষণা করেন। মামলার বাদী মোহাম্মদ মানিক সরদার মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার গোসাইবাগ এলাকার আব্দুল মালেক সরদারের ছেলে।
এ ব্যাপারে বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. নূর হোসাইন বলেন, ‘আড়াই কোটি টাকার চেক ডিজঅনারের মামলায় আসামি মন্টুকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও আড়াই কোটি টাকা অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে রায়ের সময় আসামি মন্টু আদালতে অনুপস্থিত ছিল।’