নভেম্বরের নির্বাচনে হেরে গেলে আর প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়াবেন না ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আসন্ন সেই নির্বাচনে মুখোমুখি হতে চলেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমালা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে তাদের মধ্যে শক্ত লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আর এর আগেই নতুন ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে হেরে গেলে চতুর্থবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আর লড়াই করবেন না রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ট্রাম্পের সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।
৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প টানা তিনটি জাতীয় নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী হয়েছেন এবং গত ৮ বছরে দলটিকে ব্যাপকভাবে নতুন আকার দিয়েছেন।
সিনক্লেয়ার মিডিয়া গ্রুপের সাথে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাস্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আসন্ন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের কাছে হেরে গেলে তিনি আরও একবার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পূর্বাভাস দিতে পারেন কিনা।
জবাবে সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট বলেন, না, আমি করব না। আমি মনে করি… এটাই (শেষবার) হবে। (পুনরায় ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মতো বিষয়) আমি একেবারেই দেখতে পাচ্ছি না। তবে আশা করি, আমরা খুব সফল হতে যাচ্ছি।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, কোনো প্রেসিডেন্ট দুই মেয়াদের বেশি দায়িত্বে থাকতে পারেন না। এবং এই কারণে আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে ২০২৮ সালে তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে আশা করা যায় না।
অতীতে, ট্রাম্প খুব কম সময়ই নির্বাচনে হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা স্বীকার করেছেন। এর পরিবর্তে প্রায়শই নির্বাচনে জয়ের অঙ্গীকার করে বক্তৃতা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেওয়ার মাধ্যমে সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করেছেন।
তবে গত চার দিনে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচনে হারের সম্ভাবনার কথা বলেছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি-আমেরিকান কাউন্সিল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি পরাজয়ের কথা তুলে ধরেন এবং ইঙ্গিত দেন, এই জাতীয় ক্ষতি হলে তা আংশিকভাবে ইহুদি ভোটারদের কারণেই হবে।
পরাজয়ের শঙ্কা নিয়ে ট্রাম্পের এই স্বীকারোক্তি এটাই স্পষ্ট করে যে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আসন্ন নির্বাচন থেকে নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে কমলা হ্যারিসকে মনোনীত করার পর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন ট্রাম্প।