৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক:টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে লাঞ্চ বিরতির আগেই বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ। সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসান ও মুমিনুল হকের প্রত্যেকেই বোল্ড হয়ে বাইশ গজ ছেড়েছেন। লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত ভারতের প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রানের জবাবে সফরকারীদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৬ রান। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১৫ ও মুশফিকুর রহিম ৪ রানে অপরাজিত আছেন। ইনিংসের প্রথম ওভারেই টাইগারদের উইকেটের পতন ঘটে। জাসপ্রিত বুমরাহর করা অফ স্টাম্পের উপর লেন্থ ডেলিভারিটি না খেলে ছেড়ে দেন সাদমান। এ সময় তার অফ স্টাম্প অরক্ষিত হয়ে পড়ে। ব্যক্তিগত ২ রানে তিনি ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন।ব্যক্তিগত ২ রানে বেঁচে যান জাকির। পেসার মোহাম্মদ সিরাজ তার বিপক্ষে লেগ বিফোরের আবেদন করলেও আম্পায়ার রড টাকার তাতে সাড়া দেননি। বল লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল ভেবে রিভিউ নেননি অধিনায়ক রোহিত শর্মা। হক আইতে দেখা যায় বল লেগ স্টাম্প বরাবর আঘাত করতো। রোহিত রিভিউ নিলে নিশ্চিতভাবেই সাজঘরে ফিরতেন জাকির। যদিও জাকির সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। আকাশদীপের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে বোল্ড হন। ক্রিজে নেমেই আড়াআড়ি শর্ট খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন মুমিনুল হক। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন আকাশদীপ। শুক্রবার স্বাগতিকরা ৬ উইকেটে ৩৩৯ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে। জাদেজা ১২৪ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৮৬ রানে বিদায় নেন। ভেঙে যায় অশ্বিনের সঙ্গে তার সপ্তম উইকেটে ১৯৯ রানের জুটি। তাসকিনের শর্ট লেন্থের বলে আড়াআড়ি শট খেলতে গিয়ে বল তার ব্যাটের কানায় লাগে। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে তাকে ফিরতে হয়।টেল এল্ডার ব্যাটার আকাশদীপ জীবন পেলেও খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৮ রানে ক্যাচ উঠালেও স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি সাকিব আল হাসান। বোলিং আক্রমণে থাকা তাসকিন তখন আফসোসে পুড়ছিলেন। যদিও আকাশদীপের ব্যাটে ১৭ রানের বেশি আসেনি। মিড অফে নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দি হন।টাইগার পেসার তাসকিনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন সেঞ্চুরিয়ান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ১৩৩ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় ১১১ রানের দারুণ ইনিংস খেলে তিনি উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে শান্তর হাতে ধরা পড়েন। তৃতীয় স্লিপে জাকির হাসানের তালুবন্দি হয়ে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন ৫ রান করা জাসপ্রিত বুমরাহ। শূন্য রানে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ সিরাজ। ৩৩ রান যোগ করতেই শেষ ৪ উইকেট হারায় ভারত। টেস্টে দ্বিতীয়বারের মতো ৫ উইকেট পান হাসান, খরচ করেন ৮৩ রান। সকালের সেশনে ঝলসে ওঠা তাসকিন ৫৫ রানের বিনিময়ে নেন ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট পান নাহিদ রানা ও মেহেদী হাসান মিরাজ।