সংকট বাড়ছে চা শিল্পে, লক্ষ্য পূরণে সংশয়
অনলাইন ডেস্ক:
নানা সংকটে ভুগছে সিলেটের চা শিল্প। উৎপাদন খরচের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রি, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ঋণের সুদহার ও বৈরী অবহাওয়ায় সংকট আরও বাড়ছে। এ ছাড়াও ভারত থেকে চোরাই পথে আসছে নিম্নমানের চা। গত বছর রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন হলেও এবার লক্ষ্য পূরণে দেখা দিয়েছে সংশয়।
দেশের ১৬৮টি বাগানের মধ্যে সিলেটে আছে ১৩৮টি চা বাগান। ১৭০ বছরের পুরনো এ শিল্প এখন নানা সমস্যায় জর্জরিত। প্রতি কেজি চায়ের উৎপাদন খরচ ২ শ টাকার বেশি হলেও নিলামে সেই চা বিক্রি করতে হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। ব্যাংক সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১৪ শতাংশ। এ ছাড়া চোরাই পথে ভারত থেকে নিম্নমানের চা আসায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বাগান মালিকেরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত ব্রোকার্সদের সিন্ডিকেটের কারণে চা শিল্প ধ্বংসের পথে। এ ছাড়া প্রতিকূল আবহাওয়া ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নষ্ট হচ্ছে গুণগত মানও।
সিলেটের তারাপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক রিংকু চক্রবর্তী বলেন, ২০২২ সালে কেন্দ্রীয়ভাবে যখন শ্রমিকেরা আন্দোলন করল তখন থেকেই এ শিল্পে নেমে এসেছে ধস। তখন প্রায় এক মাস বাগান বন্ধ ছিল। এর পর ২০২৩ সালে শুরু হয়েছে দরপতন। যে চায়ের উৎপাদন খরচ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা নিলামে সেই চায়ের মূল্য নেমে এসেছে ১০০ টাকার নিচে।
নিলাম মূল্য উৎপাদন খরচের চেয়ে কম থাকায় লোকসানে বাগান মালিকেরা।
ম্যাকসন ব্রাদার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মালিক হুমায়ুন বলেন, ‘এ সরকার যেমন নানা ক্ষেত্রে পরিবর্তনের মাধ্যমে সবকিছু গুছিয়ে নিচ্ছে, ঠিক তেমনি চা শিল্পেও পরিবর্তন দরকার। আমরা ১০টি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছি, সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিলে অবশ্যই চা শিল্পে চলমান সংকট দূর হবে।’
২০২৩ সালে ১৭০ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে ১০ কোটি ২৯ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয় ১০ কোটি ৮০ লাখ কেজি। প্রথম ৩ মাসে উৎপাদন হয়েছে মাত্র ১৭ লাখ ৪৮ হাজার কেজি।