জামিনে মুক্ত ৬ শীর্ষ সন্ত্রাসী, শঙ্কায় বিশ্লেষকেরা
অনলাইন ডেস্ক:
কেউ ৯ হত্যা মামলার আসামি, কেউ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায়, কারও বিরুদ্ধে আবার ইন্টারপোলের রেড নোটিশ। সম্প্রতি এমন ছয় আসামির জামিনে মুক্তিতে তৈরি হয়েছে মিশ্র-প্রতিক্রিয়া। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা বেড়েছে বিশ্লেষকদের মনে। তাঁদের ওপর কড়া নজরদারি করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তাাঁরা।
গেল ৫ আগস্ট, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের দিন হামলা হয় অন্তত পাঁচ শ থানায়। লুট হয় অস্ত্র-গোলাবারুদ। খোয়া যায় এসএসএফের অস্ত্রও। এর বেশির ভাগই উদ্ধার হয়নি এখনও। এরই মধ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কারামুক্তি এসেছে বড় আলোচনায়।
গত ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্ত হন ১৯৯৭ সালে গ্রেপ্তার ৯ হত্যাসহ ২২ মামলার আসামি শেখ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম। ১৪ আগস্ট মুক্তি দেওয়া হয় হত্যাসহ আট মামলার আসামি সানজিদুল হাসান ইমনকে। ১৩ আগস্ট মুক্তি পাওয়া আব্বাস আলী ওরফে কিলার আব্বাসের নামে রয়েছে ছয় হত্যায় ১০টি মামলা।
এর আগে, ১২ আগস্ট জামিনে বের হন খোরশেদ আলম রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসু ও ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল। রাসুর বিরুদ্ধে পুলিশ হত্যাসহ মামলা ১৩টি। আর হত্যাসহ আট মামলার আসামি পিচ্চি হেলাল। একই দিন জামিন পান ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর ২ নম্বরে থাকা টিটন।
এ অবস্থায় নিরাপত্তার প্রশ্নে শঙ্কিত অপরাধ বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, জামিনে বের হওয়া অনেকের বিরুদ্ধেই ছিল কারাগারে থেকেও তৎপরতা চালানোর অভিযোগ। তাদের মুক্তিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিচ্ছেন সতর্ক থাকার বার্তা।
সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক বলেন, জামিনে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা মুক্তির পর যদি তারা নজরদারিতে না থাকে, তাহলে তারা আবার অপরাধ প্রবণতায় জড়িয়ে পড়তে পারে। এতে সাধারণ মানুষের স্বস্তিতে জীবনযাপন কঠিন হয়ে যাবে।
পুলিশ সদরদপ্তর বলছে, জামিনে থাকা অপরাধীদের নজরদারিতে রাখতে বলা হয়েছে বিশেষায়িত ইউনিটগুলোকে।
পুলিশ সদরদপ্তর এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর বলেন, জামিনে থাকা জঙ্গি এবং অন্য অপরাধীরা যেন কোনো ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য তাদের ওপর পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটগুলো নজর রাখছে। তারা যদি কোনো অপরাধ করে তাহলে তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হবে।
এদিকে নানা সূত্র থেকে জানা গেছে, দেশ ছাড়ার পরিকল্পনাও করছেন জামিনে মুক্ত কয়েকজন।