বিএনপির দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ২০
অনলাইন ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের মিছিল বের করা নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রবিনসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার ফতুল্লার রেললাইন বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই গ্রুপের লোকজনদের হাতে রাম দা, ধারালো অস্ত্র, রড ও লাঠিসোঁটা দেখা গেছে।
এদিকে, সংঘর্ষ নিয়ে থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বারী ভূঁইয়া একে অন্যদের দোষারোপ করেছেন। সংঘর্ষে লিপ্তরা এই দুই নেতার অনুসারী।
বিএনপি নেতাকর্মী সূত্রে জানা যায়, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজ প্রতিরোধের একই ব্যানারে ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি ও ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি একই সময়ে মিছিল বের করে। এর মধ্যে ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির মিছিলে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন। তিনি মূলত থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বারী ভূঁইয়া সমর্থক।
অপরদিকে, থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু সমর্থিত ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির ব্যানারে মিছিলে ছিলেন ফতুল্লা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রবিনসহ আরো অনেকে। দুই দলের মিছিল রেললাইন বটতলা এলাকাতে পৌঁছালে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। হামলায় আহত হন অন্তত ২০ জন।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু বলেন, বিকেলে ফতুল্লা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এলাকা থেকে মাদক, সন্ত্রাস দূর করতে একটি শান্তি মিছিল বের করেন। এ সময় শামীম ওসমানের লোক আলাউদ্দিন হাজীর ছেলেরা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা-গুলি চালান। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। কি কারণে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর এমন বর্বর হামলা করল তা আমার জানা নেই।
ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বারী ভূঁইয়া বলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ, যুবলীগ নেতা মীর সোহেলের লোকজন এই হামলা করেন। রিয়াদ একজন বিপদগামী বিএনপি নেতা। তার নেতৃত্বেই শটগান দিয়ে এ হামলা করা হয়।
ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন জানান, তাদের মিছিলে হঠাৎ করেই রিয়াদ চৌধুরীর লোকজন হামলা করেন। এতে তাদের অনেকে আহত হয়েছেন।
ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, বুধবার বিএনপির কোনো কর্মসূচি ছিল না। মূলত এলাকা থেকে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও মাদক দূর করতে এলাকাবাসী একটি মিছিল বের করে। এ সময় ওলা মাসুদ, আলাউদ্দিন ছেলেরা হামলা করলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি সোলায়মান মাহমুদ বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুই পক্ষই পালিয়ে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।