চালের মজুতে টান, দামে ধাক্কা লাগার শঙ্কা
অনলাইন ডেস্ক:
গত বছরের চেয়ে এ বছর চালের মজুত কমেছে প্রায় ২ লাখ টন। এছাড়া, বন্যায় আমনের উৎপাদন ৩ শতাংশ কমার আভাস দিয়েছে আমেরিকার কৃষি বিভাগ। এ পরিস্থিতিতে চালের দামে ধাক্কা লাগার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। অবশ্য খাদ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এতে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। প্রয়োজন হলে চাল আমদানি করা হবে।
গত একমাস ধরে চড়া চালের দাম। সাম্প্রতিক বন্যায় দাম বেড়েছে আরেক দফা। ৮ থেকে ১০ দিনে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২ টাকা পর্যন্ত। টিসিবির হিসাবে, দাম গত বছরের চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ বেশি।
এদিকে, আমেরিকার কৃষি বিভাগ শঙ্কা জানিয়েছে, বন্যায় আমন ও আউশ ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে ৩ শতাংশ কমে চালের উৎপাদন হতে পারে ৩ কোটি ৬৮ লাখ টন।
বন্যায় কিছুটা ক্ষতি হলেও সার্বিকভাবে সমস্যা হবে না বলে দাবি খাদ্য সচিব মো: ইসমাইল হোসেনের। তিনি জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় চাল আমদানির পরিকল্পনাও রয়েছে।
খাদ্য সচিব বলেন, ‘এখানে (বন্যা কবলিত এলাকা) আমনের জন্য অনেক বড় প্রোডাকশন এরিয়া নেই। তারপরেও কিছুটা ক্ষতি হবে, আমরা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করছি। আর কৃষি মন্ত্রণালয় আমাদের একটা প্রাক্কলন দিচ্ছে, কি পরিমাণ ক্ষতি হবে। তারপরে আমরা এটা উপদেষ্টা পরিষদে উপস্থাপন করব। এমন হতে পারে, এর প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে, প্রয়োজন মনে করলে কিছু চাল হয়ত আমদানিও করা লাগতে পারে। এটা নির্ভর করবে আমন প্রোডাকশনের ওপরে।’
তবে চাল আমদানির চেয়ে উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন কৃষি অর্থনীতিবিদরা। পাশাপাশি বাজারে কারসাজি রোধের তাগিদ।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সরবরাহ আরও কীভাবে বাড়ানো যায় উৎপাদনের মাধ্যমে বা বিদেশ থেকে আমদানি করার মাধ্যমে। এটা যেমন প্রচেষ্টা থাকতে হবে তেমনি বাজারে যে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করে ব্যবসায়ীরা এই যে যোগসাজশ এবং এই যে তাদের সিন্ডিকেট এটাকে ভাঙতে হবে।’
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, সরকারি গুদামে চালের মজুত প্রায় ১৪ লাখ ৬৫ হাজার টন। যা গত বছরের চেয়ে ২২ দশমিক ১ শতাংশ কম।