সর্বজনীন পেনশন স্কিম থাকছে কি না, জানা গেল নতুন তথ্য

অনলাইন ডেস্ক:

আওয়ামী লীগ সরকার তথা শেখ হাসিনা সরকারের আমলে চালু হওয়া সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

যতদিন বিকল্প নতুন কোনো পদ্ধতি চালু না হচ্ছে ততদিন এই পেনশন স্কিম চালু রাখা হবে।

সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সোমবার বৈঠকে বসেন। বৈঠকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে এখনো পর্যন্ত কী কী করা হয়েছে, সে বিষয়সহ সার্বিক বিষয় অর্থ উপদেষ্টার কাছে উপস্থান করা হয়। অর্থ উপদেষ্টার সম্মতিতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম যেভাবে চলছে, সেভাবেই চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধনের গতি কিছুটা কমে গেছে। তবে এরই মধ্যে তা ৩ লাখ ৭২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আর চাঁদা জমা পড়েছে ১২৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ওপরে। এর মধ্যে ১১৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে।

সর্বস্তরের জনগণকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনতে গত বছর সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করে সরকার। গত বছরের ১৭ আগস্ট তৎকালীন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন। এর পরপরই আবেদন শুরু হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা এবং সমতা— এই চার স্কিম নিয়ে সর্বজনীন পেনশন চালু করে সরকার।

পরবর্তীকালে সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামে নতুন স্কিম চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। গত ১ জুলাই থেকে এই স্কিম কর্যকর হয়।

তবে শিক্ষকদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে প্রত্যয় স্কিম বাতিল করা হয়। সে হিসেবে বর্তমানে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা এবং সমতা এই চারটি স্কিম চালু রয়েছে।

শুরুতে সর্বজনীন পেনশনে মানুষের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেলেও মাঝে নিবন্ধনে কিছুটা ধীরগতি আসে। তবে চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে হু হু করে বাড়তে থাকে সর্বজনীন পেনশনে নিবন্ধন করে চাঁদা জমা দেওয়া মানুষের সংখ্যা। এপ্রিলে ৬০ হাজার মানুষ নিবন্ধন সম্পন্ন করেন। এতে ঐ মাসে সর্বজনীন পেনশনে নিবন্ধনের সংখ্যা এক লাখের মাইলফলক স্পর্শ করে।

অর্থাৎ, সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর আট মাস পরে নিবন্ধন সম্পন্নকারীর সংখ্যা এক লাখ স্পর্শ করে। এরপর মে ও জুন মাসেও বিপুল পরিমাণ মানুষ নিবন্ধন সম্পন্ন করে চাঁদা জমা দেন। এতে জুলাই মাস শুরু হতেই নিবন্ধন সম্পন্নকারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ হয়ে যায়। আর জমা পড়া চাঁদার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১০০ কোটি টাকা।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)