ভোমরার বিএনপি কর্মী খলিল হত্যার অভিযোগে সাবেক পুলিশ সুপারসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
স্টাফ রিপোর্টার: ১০ বছর আগে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ল²ীদাড়ী এলাকার বিএনপি কর্মী খলিল আহম্মদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে ৬৩জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করা হয়েছে। রবিবার সাতক্ষীরার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত-১ এ মামলাটি দায়ের করেন নিহতের ভাই জাফর আহম্মদ। তৎকালিন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, সদর থানার ওসি এনামুল হকসহ ৬৩জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। এছাড়া মামলায় জেলা আওয়ামীলীগ নেতা, ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান ও একাধিক পুলিশকে আসামী করা হয়েছে।
আদালতের বিচারক মামলাটি তদন্ত সাপেক্ষে এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ মামলার এজাহার নামীয় অন্যান্য আরো আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের তৎকালীন এসআই আবুল কাসেম, পুলিশ সুপারের বডিগার্ড মোঃ কামাল, ডিবি’র এসআই আব্দুল মাজেদ, আওয়ামীলীগ নেতা আসাদুজ্জামান বাবু, এস,এম শওকত হোসেন, ভোমরা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান ইসরাফিলসহ ৬৩জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১০জুলাই সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা জজ কোর্টের গেটের সামনে থেকে আসামীরা বিএনপি নেতা খলিল আহম্মদকে জোর পূর্বক ডিবি অফিসে ধরে নিয়ে যায়। এসময় খলিলকে প্রচন্ড মারধর করে ৫লক্ষ টাকা নেয়। পরে বাঁকাল ইসলামপুরে অবস্থিত ইকো পার্কের দক্ষিণ পাশে পাকা রাস্তার ধারে নিয়ে পুলিশ গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ তার পরিবারেরর কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবি এড. মুজিবর রহমান জানান, ওই সময়কার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা সম্ভব না হওয়ায় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তণ হওয়ায় মামলাটি দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে। তিনি এসময় বিচারবহির্ভুত হত্যাকান্ডে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।