শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও আমি ও আমার নেত্রী দেশ ছেড়ে যায়নি-সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব
নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাতক্ষীরার সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেছেন, আমি ও আমার নেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া অন্যায়ের কাছে কখনও মাথানত করেনি। দেশের ক্রান্তিকালে শেখ হাসিনা দুই দুই বার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও আমি ও আমার নেত্রী দেশের প্রতি মমত্ববোধ ও ভালোবাসার কারনে দেশ ছেড়ে যায়নি। শনিবার বিকালে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুমিরা হাইস্কুল মাঠে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সংবর্ধনার জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে দেননি। অথচ খালেদা জিয়া তো এখন মুক্ত হয়েছেন, তবে এখন হাসিনার চিকিৎসা করাবে কে ?
তালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃনাল কান্তির সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক নেতা আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা বিভাগীয় কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম তুহিন, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক শেখ তারিকুল হাসান, সাবেক এমপি হাবিবের স্ত্রী হাইকোর্টের আইনজীবি শাহানারা পারভীন বকুলসহ অন্যান্যরা। সমগ্র অনুষ্ঠানটি স ালনা করেন, তালা উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম।
এদিকে, শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার সাজানো মামলায় দীর্ঘ ৪ বছর কারাভোগের পর নিজ নির্বাচনী এলাকায় পা রাখলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব। হাজার হাজার নেতাকর্মীরা এসময় সড়কের দুই ধারে দাঁড়িয়ে তাকে এক নজর দেখার জন্য অপেক্ষায় প্রহর গুনতে থাকে।
উল্লেখ্য ঃ ২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার সাজানো মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে ৭০ বছর কারাদ্বন্ড প্রদান করে বিচারিক আদালত। এ মামলায় বিএনপি’র আরো ৪৯ নেতা কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে কারাবন্দি অবস্থায় ৪ জন মৃত্যু বরণ করে। ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পাল্টে যায় দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। গত সপ্তাহে হাইকোর্ট ডিভিশনের ১১ নম্বর বে এ মিথ্যা মামলায় হাবিবসহ ৪৬ জন জামিনে মুক্তি পায়।