রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে গত ৫ই আগস্ট রক্তের দাগ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষত কাটিয়ে উঠতে পারেনি দেশের মানুষ

নিজস্ব প্রতিনিধি : আওয়ামীলীগ সরকারের দুঃশাসনের টানা ১৬ বছরে গণতন্ত্রকে বাকরুদ্ধ করা হয়েছিল। মানুষ কথা বলতে পারেনি। বিএনপি ,জামাত ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা গুম ,খুন, হত্যা, নিপীড়নের শিকার হয়েছে। নেতাকর্মীরা রাতে ঘুমাতে পারেনি কোর্টের বারান্দায় দিন কেটেছে। দেশের মানুষের চাপা ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে গত ৫ই আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে ছাত্র জনতার আন্দোলনের চাপের মুখে পড়ে গণভবন থেকে দুপুর আড়াইটায় সেনা হেলিকপ্টারযোগে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। এরপর সেনা বাহিনীর প্রধান ওয়াকারুজ্জামান জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ প্রদান করেন। এরপর সারাদেশে ছাত্র জনতা আনন্দ উল্লাস বিজয় মিছিল নিয়ে আনন্দে ফেটে পড়ে। দেশব্যাপী মানুষের চাপা ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর দেশব্যাপী জ্বালাও পোড়াও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর থানা , ট্রাফিক অফিস, ফাঁড়ি, জেলখানা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। দেশের বিভিন্ন জেলখানা থেকে আসামি পালানোর ঘটনা ঘটে অস্ত্রগার লুট হয়। এই সুযোগে কিছু সুযোগ সন্ধানী দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লুটপাট লুটতরাজ করে। গত ৫ই আগস্ট এটাকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা জেলায় বিকাল ৩ টায় জেলা পুলিশ সুপারের বাসভবনে হামলা চালানো হয়। এরপর পরিকল্পিতভাবে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ও দুর্বৃত্তরা ট্রাক ও পিকআপ যোগে শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ে অগ্নিসংযোগ ও হামলা চালায়। এসময় আওয়ামী লীগের অফিস ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা হামলা ও অগ্নিসংযোগ কর। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে, পোস্ট অফিস মোড় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে, ইটাগাছা হাটের মোড়ে সংরক্ষিত মহিলা এমপি লায়লা পারভীন সেঁজুতি এমপি ‘র অফিস এবং তার ব্যবহারিত একটি মাইক্রোবাস সাতক্ষীরা বাইপাস এলাকায় নিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, দৈনিক কালের চিত্র অফিসে, খুলনা রোড মোড়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল এ সাতক্ষীরা সিটি কলেজের সামনে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে, সাবেক যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নানের বাড়িতে, পুরাতন সাতক্ষীরা ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিসে, সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড়বাজার মাছ বাজার এলাকায় শরিফুল ইসলাম খান বাবুর বঙ্গবন্ধুর সৈনিক লীগের অফিসে, শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক এলাকায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার, রসুলপুর গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ এর বাড়ি ভাংচুর, ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের অফিস ও পৌর কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু’র অফিস, পুলিশ সুপারের বাসভবন,থানা, ট্রাফিক অফিস,পুলিশ ফাঁড়ি, জেলখানা সহ জেলা ব্যাপী প্রায় সাড়ে চার হাজার বিভিন্ন স্থাপনা অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। উত্তেজিত জনতার হামলায় অসংখ্য মানুষ আহত হন এবং প্রাণ হারায়। এই আন্দোলন ছাড়াও গত ১৬ বছরের লড়াইয়ের একটি মুহূর্ত ৫ আগস্ট পেয়েছ বাংলাদেশের মানুষ।

 

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)