পশ্চিম তীরে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে মার্কিন-তুর্কি নারী নিহত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অবৈধ ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে গুলি চালিয়েছেন দেশটির সেনারা। এতে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী একজন তুর্কি–মার্কিন নারী নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিন ও তুরস্কের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
এই মৃত্যুর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তুরস্ক বলেছে, নিহত নারীর নাম আয়েশানূর এজগি এইগি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র এই মৃত্যুকে ‘মর্মান্তিক’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে মিত্র দেশটির প্রতি ঘটনার পূর্ণ তদন্ত দাবি করেছে।
জাতিসংঘের অধিকার বিষয়ক অফিস জানিয়েছে, এইগির মাথায় গুলি করা হয়েছে। অন্যদিকে, এফপি জানিয়েছে, তাদের ফটোগ্রাফার এইগিকে মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় নাবলুসের একটি হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখেছেন। জাতিসংঘ বলেছে, ২৬ বছর বয়সী এইগি সাপ্তাহিক প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বেইটায় বসতিবিরোধী শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছিলেন।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতিতে চার লাখ ৯০ হাজারেরও বেশি লোক বসবাস করছে তবে আন্তর্জাতিক আইনে এই বসতি স্থাপনকে অবৈধ হিসেবে দেখা হয়।
নাবলুসের রাফিদিয়া হাসপাতালের পরিচালক ফুয়াদ নাফা জানান, এইগিকে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনাকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান ‘বর্বরোচিত’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন ইসরায়েলি দখরদার সৈন্যরা এইগিকে হত্যা করেছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আরও তথ্যের জন্য দেশটির সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জাঁ পিয়েরে বলেছেন, ‘মার্কিন নাগরিকের করুণ মৃত্যুতে আমরা ভীষণভাবে বিচলিত।’
গাজা যুদ্ধের অবসানে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার এইগির হত্যাকাণ্ডকে ‘জঘন্য অপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৪০ হাজার ৮৭৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।