ডুমুরিয়ার কৃষ্ণনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

আব্দুর রশিদ:ডুমুরিয়ার কৃষ্ণনগর এম বি বি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষকের দীর্ঘদিনের নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি রোধে এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেছে। তবে এসব অনিয়ম ধামাচাপা দিতে স্থানীয় একটি দুষ্টু চক্র নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। নিরুপায় হয়ে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত নালিশ নিয়ে হাজির হয়েছেন। একাধিক দায়িত্বশীল সুত্রে ও এলাকাবাসীর দেওয়া লিখিত দরখাস্তের মাধ্যমে এসব তথ্য জানা গেছে।লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ডুমুরিয়া উপজেলার উত্তরে কৃষ্ণনগর এম বিবি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক বিচরণ হালদার ১ যুগ ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। এ এক যুগে অনেক শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে কমপক্ষে এক কোটি টাকার উৎকোচ গ্রহন করেছেন। সর্বশেষ ভূ’য়া চিঠির মাধ্যমে চতুর্থ শ্রেণীর ৩ টি পদে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠলে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন। এ সময়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, এলাকাবাসী এবং শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি সভা হয়। ওই সভায় শিক্ষক বিচরণ হালদার ঘুষের ৯ লাখ টাকা প্রতিষ্ঠানে দিতে অঙ্গিকার করেন। সকলের উপস্থিতিতে গত ২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর একটি চেক এবং একটি লিখিত অঙ্গিকারনামা প্রদান করেণ শিক্ষক বিচরণ হালদার। তবে ওই টাকা এখনও প্রতিষ্ঠানে তিনি দেননি। এছাড়া বিভিন্ন সময় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের কথা বলে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করলেও কোন উন্নয়নমুলক কাজ না করেই সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। সদ্য সাবেক সভাপতি স্বপন বিশ্বাস বলেন, বিচরণ হালদার লিখিত অঙ্গিকার করেও ঘুষের টাকা বিদ্যালয়ে জমা দেয়নি। এমনকি ভ’ক্তভোগিদেরও ওই টাকা ফেরত দেয়নি বলে তিনি জানান। এদিকে এসব অনিয়ম বন্ধে গত সপ্তাহে এলাকাবাসী ও বেশকয়েকজন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা ওই প্রতিষ্ঠানে গেলে শিক্ষক বিচরণ হালদারের একটি পোষা বাহিনী বহিরাগত কিছু দুষ্টু লোকদের এনে নানা প্রকার সন্ত্রাসী আচারণ করে প্রতিবাদী এলাকাবাসীকে প্রতিষ্ঠান থেকে বের কয়ে দেয়। নিরুপায় হয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার পক্ষে বটবেড়া গ্রামের মনিতোষ মন্ডল গত বৃহস্পতিবার নানা অনিয়মের ফিরিস্তি উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ আল আমিনের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। মোট ১৮ পৃষ্ঠার অভিযোগের ফিরিস্তি’কারী মনিতোষ মন্ডল বলেন, শিক্ষক বিচরণ হালদার টাকা দিয়ে একটি নিজস্ব বলয় তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করে ফেলছে। আমরা এ প্রতিষ্ঠানটির সংস্কার চাই। একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন দাবি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, তদন্ত করে অনিয়ম ধরা পড়লে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)