মামা ভাগ্নেকে কুপিয়ে হত্যা, ২৪ জনের নামে আদালতে মামলা
রঘুনাথ খাঁ ঃ গত ৫ আগষ্ট রাত ৮টার দিকে জেল ভেঙে পালিয়ে আসা আসামীর নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের পর মামা ও ভাগ্নেকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা গ্রামের জবেদ আলী শেখের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন বাদি হয়ে বৃহষ্পতিবার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক নয়ন বড়াল মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় সদর উপজেলার মৃগিডাঙা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আবুল হোসেন ও আবুল হাসান, ফিরোজ হোসেন, জাকির হোসেন, ওসমান গনি, আবুল খায়ের, ফারুক হোসেন. মফিজুর রহমান, সাইফুজ্জামান, তজিবর রহমান, আশরাফুল ইসলাম, বাবর আলী, হাফিজুর রহমান, মফিজুর রহমান, নাঈম, মঈন, বাউখোলা গ্রামের মনিরুল ইসলামসহ ২৪ জনকে আসামী শ্রেণীভুক্ত করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার মৃগিডাঙা গ্রামের তোজাম্মেল হকের সঙ্গে একই গ্রামের লুৎফর রহমান ও তার শরীকদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। আসামীরা গত ২৮ জুলাই তোজাম্মেল হকের ছেলে মোস্তফা তৌহিদুলের পুকুরে শ্যালো মেশিন বসিয়ে প্রায় এক লাখ টাকার মাছ ধরে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মোস্তফা তৌহিদুল বাড়ি হয়ে আবুল হোসেন, আবুল হাসানসহ কয়েকজনের নামে সদর থানায় ৪৯/২৪ নং মামলা করে। পরদিন পুলিশ আবুল হোসেন ও আবু হাসানকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়। গত ৫ আগষ্ট সন্ধ্যায় জেলখানা ভেঙে আবুল হোসেন পালিয়ে বাড়িতে আসে। রাত ৮টার দিকে আবুল হোসেনের নেতৃত্বে ২৪জন পার্শ্ববর্তী রাশিদা বেগমের বাড়িতে হামলা চালায়। বাধা দেওয়ায় হামলাকারিরা বাদির ভাই মোস্তফা তৌহিদুল ও তার ভাগ্নে (বাদির ছেলে) সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। পরে ওই বাড়িতে ভাঙচুর শেষে ১০ লাখ নগদ টাকা, ৩২ ভরি সোনার গহনা, মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে। পরে তারা ওই বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে ২২৫ মণ ধানসহ পাঁচ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়িয়ে নষ্ট করে। আসামীদের ভয়ে বাদি ও তার স্বজনরা আত্মগোপনে থাকা ছাড়াও থানায় পুলিশ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করতে হয়।সাতক্ষীরা জজ কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাড. আব্দুস সামাদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।#