সকালে যেসব খাবার খেলে সারাদিন এনার্জি পাওয়া যায়
লাইফস্টাইল ডেস্ক:
সারাদিনের ব্যস্ততা এবং কাজের চাপে আমাদের অনেকের শরীরেই দিনের বেশিরভাগ সময় জুড়ে থাকে ক্লান্ত-অবসন্ন ভাব। অল্প পরিশ্রমেই অনেকে মারাত্মক ক্লান্ত হয়ে যান। তাদের প্রয়োজন কিছু ‘এনার্জি বুস্টার’ খাবার। সারাদিন কোন কোন খাবার খেলে আপনি কাজ করায় শক্তি পাবেন এবং ক্লান্ত, অবসন্ন থাকবেন না, সেই তালিকায় একবার নজর দেওয়া যাক।
কলা: এনার্জি বুস্টার হিসেবে প্রথমেই যে খাবারের নাম মনে আসে তা হল কলা। ব্রেকফাস্টে অনেক বাড়িতেই কলা খাওয়ার চল রয়েছে। এই ফল আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে অনেকক্ষণ। তাই টিফিন হিসেবে এই ফলের জুড়ি মেলা ভার। এনার্জি বুস্টার খাবার কলার মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন এবং কার্বোহাইড্রেটস। এই সমস্ত উপকরণই মানবদেহে এনার্জির যোগান দেয়। ফ্রুট স্যালাড হোক বা স্মুদি, আপনি ব্যবহার করতে পারেন কলা। এছাড়াও কর্নফ্লেক্স কিংবা মুসলি খাওয়ার সময়েও তার সঙ্গে যোগ করতে পারেন কলা।
ড্রাই ফ্রুটস এবং নাটস: ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া সবসময়েই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। বিশেষ করে আমন্ড এবং আখরোট খেতে পারলে অনেক উপকারিতা পাবেন। আমাদের শরীরে এনার্জির যোগান দেয় এইসব ড্রাই ফ্রুটস এবং বিভিন্ন ধরনের নাটস বা বাদাম। স্ন্যাকস জাতীয় খাবার হিসেবে সঙ্গে রাখতে পারেন ড্রাই ফ্রুটস এবং নাটস। এগুলো সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া কষ্টকর নয়। সহজে খেয়ে নেয়াও যায়। আর খিদের সময় পেট ভরায় এইসব উপকরণ। সেই সঙ্গে এনার্জির যোগান দেয়।
মিষ্টি আলু: সুইট পটেটো বা মিষ্টি আলুও এনার্জি বুস্টার হিসেবে কাজ করে। এমনি আলুর তুলনায় এই মিষ্টি আলু খাওয়া ভালো। কারণ এই উপকরণ ওজন বৃদ্ধি করে না। মিষ্টি আলুর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার এবং পটাশিয়াল। এই তিনটি উপকরণই আমাদের শরীরে এনার্জির যোগান দেয়। তাই নিজের ক্লান্ত-অবসন্ন ভাব দূর করার জন্য পাতে রাখতে পারেন মিষ্টি আলু বা সুইট পটেটো।
চিয়া সিডস: চিয়া সিডস খেলে শুধু ওজন কমে তা নয়। এনার্জি বুস্টার হিসেবেও এই খাবারের জুড়ি মেলা ভার। তাই ব্রেকফাস্টে আপনি চিয়া সিডস খেতেই পারেন স্মুদির মধ্যে দিতে কিংবা চিয়া সিডস আগের রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সেটাও খেতে পারেন। চিয়া সিডসের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে হেলদি ফ্যাট এবং ফাইবার। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট। চিয়া সিডস ব্রেকফাস্টে খেলে আপনি সারাদিন শরীরে এনার্জি অনুভব করবেন।
ক্লান্তি কাটানোর জন্য পরিমিত পানি খাওয়া সবচেয়ে বেশি দরকার: প্রতিদিন পরিমিত পানি খাওয়ার অভ্যাস থাকা প্রয়োজন। শরীরে ডিহাইড্রেশন হলে ক্লান্ত-অবসন্ন ভাব বেশি দেখা যায়। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে সঠিক পরিমাণে পানি খাওয়া প্রয়োজন। আপনার শরীর সঠিকভাবে হাইড্রেটেড থাকলে তবেই আপনি ক্লান্ত, অবসন্ন ভাব কাটিয়ে উঠতে পারবেন। পরিশ্রম করলেই হাঁপিয়ে যাবেন না। সারাদিন সঠিক পরিমাণে পানি খেলে কাজ করার এনার্জি পাবেন আপনি।