এবার সাবেক মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
অনলাইন ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মনিরুল ইসলাম নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের ঘটনায় সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক এমপি শামীম ওসমান ও সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক। এর আগে, মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে নিহতের ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের সবগুলো থানায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ শামীম ওসমান এবং তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা হয়েছে। তবে কোনোটিতে আইভীর নাম ছিল না। এটি আইভির বিরুদ্ধে প্রথম মামলা।
মামলায় নজরুল ইসলাম বাবু, গোলাম দস্তগীর গাজী, কায়সার হাসানাত, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর মতি, নূর উদ্দিন মিয়া, শাহজালাল বাদল, শাহ নিজাম, আইভীর ভাই শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা উজ্জল, সাংবাদিক রাজু আহাম্মদ, অ্যাডভোকেট সুইটি ইয়াসমিন, কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলসহ ১৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১ নম্বর আসামি ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে সারাদেশের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও সন্ত্রাসীদের দ্বারা ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করার নির্দেশ প্রদান করলে ২ নম্বর হতে ৫ নম্বর আসামির নেতৃত্বে ৩০০-৪০০ জন আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বন্দুক, সাটারগান, পিস্তল, তলোয়ার, রামদা, চাপাতিসহ দেশি ও বিদেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্র জনতাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এ সময় আদমজী রোডের আল আমিন নগর পাওয়ার হাউজের সম্মুখে তাদের হাতে থাকা ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতে ঘটাতে সামনের দিকে আগাতে থাকে। এ অবস্থায় আসামিরা তাদের সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে চারদিকে গুলি ছুঁড়তে থাকে। তখন আমার ভাই মিনারুল ইসলাম একজন গার্মেন্টস কর্মী গত ২০ জুলাই সন্ধ্যা অনুমান ৬টায় মুজিব ফ্যাসনের সম্মুখে আসলে, ঘটনার সামনে পড়ে গেলে ২ নম্বর আসামি শামীম ওসমান তার হাতে থাকা আগ্নোয়াস্ত্র দিয়ে আমার ভাইকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। সেই গুলি আমার ভাইয়ের বাম দিকের কিডনির নিচে বিদ্ধ হয়। আমার ভাই সেখানেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তার সঙ্গে থাকা সাইদুল ইসলাম, কাওসার ও ডালিম মোল্লা অটোতে করে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।