সাতক্ষীরার গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক সাংবাদিক আলফাতকে হত্যার হুমকি
শ্যামনগর প্রতিনিধি: আইন শৃঙ্খলার বাহিনীর অবনতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির দুষ্কৃতকারীরা সাতক্ষীরার শ্যামনগর এক সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা করে এসময় সাংবাদিককে বাড়িতে না পেয়ে জীবননাশের হুমকি প্রদান করে আসে।সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টা থেকে রাত ২ টা পর্যন্ত দৈনিক প্রজন্ম একাত্তর পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক সাতক্ষীরার শ্যামনগর প্রতিনিধি মোঃ আলফাত হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।সাংবাদিক আলফাত হোসেন দৈনিক প্রজন্ম একাত্তর পত্রিকার শ্যামনগর উপজেলা প্রতিনিধি ও গণসংহতি আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা সমন্বয়ক হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামীলীগ এমপি এস,এম আতাউল হক দোলনের খুব কাছের একনিষ্ঠ কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দর রহিম পূর্বের শত্রুতার জের ধরে বর্তমানে বিএনপির স্থানীয় নেতা কর্মীদের সাথে মিলেমিশে তিনি ছাত্রদল ও সেচ্ছাসেবক দলের কিছু লোকজনকে লেলিয়ে দেই। সাংবাদিক আলফাত হোসেনের সাথে বিরোধের জেরে দুর্বৃত্তরা আলফাত হোসেনের বাড়ির সীমানা পেরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে ঘরের ভিতর খোঁজাখুজি করে।এ বিষয়ে সাংবাদিক আলফাত বলেন, আমি কোনো আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলাম না। তবে আমি একটি অরাজনৈতিক পরিবারের সন্তান,গ্রামে সাহেবখালী সিদ্দিক গাজী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে বিরোধের জেরে সেখানে আমাকে জড়িয়ে নেন ছাত্রদল,সেচ্ছাসেবক দলের সমর্থক রুহুল আমীন খোকন, মামুন, ও তাদের লোকজন আমার বাড়িতে তাণ্ডব চালায়। তারা আমার ওপর হামলা করার চেষ্টাকালে আমি বুঝে উঠায় বাড়ি হতে কৌশলে পালিয়ে যায়।
সাংবাদিক আলফাত হোসেনের বড় ভাই বলেন,দীর্ঘদিন ধরে আমার ছোট ভাইকে হত্যা চেষ্টা এবং বিভিন্ন ভাবে ফাঁসাতে চেষ্টা চলে আসছে একটি মহল পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারত কিন্তু বিএনপি নেতা মাস্টার আব্দুল ওয়াহেদ হামলাকারীদের নিবৃত্ত করেছেন, আমাদের ওপর জুলুম করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে উপজেলা বিএনপি নেতা মাস্টার আব্দুল ওয়াহেদ কে জানালে বলেন, বিষয়টি আমি শোনার সাথে সাথেই ভাঙচুর-লুটপাট বন্ধের অনুরোধ করলে তারা তা বন্ধ করে , বিষয়টি স্থানীয় কয়েকজন লোকের ইন্ধনে বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানতে পেরেছি,বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান জোনায়েদ সাকি জানান, আমার দলীয় নেতা কর্মীর উপর কেউ হামলা বা অপ্রতিকার ঘটনা ঘটালে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না বিশেষ করে সাংবাদিক আলফাত কে হত্যা চেষ্টার ব্যপারে আমি সরাসরি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে আলোচনা করবো যাহাতে এর কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম নেতা ফরিদুল হক জানান বিষয়টি খুবই দুঃখজনক আমি সাতক্ষীরার জেলা ও উপজেলা বিএনপি কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করছি আশা করি উনারা একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের খুলনা বিভাগীয় নেতা মনির চৌধুরী সোহেল বলেন আমি বিষয়টি জানতে পেরে শ্যামনগর উপজেলা বিএনপি নেতা মাস্টার আব্দুল ওয়াহেদ সাহেবের সাথে কথা বলেছি বিষয়টি আমলে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি তিনি এ ঘটনাকে গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।