বলাডাঙ্গা ছয়ঘরিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার কুদ্দুসের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা ছয়ঘরিয়া দাখিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার ও অন্তর্বর্তী সরকারের আদেশে সম্প্রতি বাতিল হওয়া সভাপতি মুকুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরের এলাকাবাসীর দেওয়া অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ পক্রিয়া সম্পন্ন করতে মারিয়া হয়ে ওঠে ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল কুদ্দুস ও অন্তর্বর্তী সরকারের আদেশে সম্প্রতি বাতিল হওয়া সভাপতি মুকুল। মুকুলের এক ভাই সচিবালয়ে পিয়নের চাকুরি করার সুবাদে প্রভাব বিস্তার করতো। স্থানীয়রা আরো জানান, নিয়োগ পরীক্ষার আগেই এসব প্রার্থীদের কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা লেনদেন সম্পন্ন করার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে এলাকার সুধীজনদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, পূর্বের সভাপতি মো. হাফিজুর রহমানের সময় ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’ প্রকাশ করা হলেও দক্ষ প্রার্থী না পাওয়ায় তিনি পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অনুরোধ করেন। এ সময় ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল কুদ্দুস অদক্ষ প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে মোটা অংকের অর্থের প্রলোভন দেখান। সভাপতি অযোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দিতে রাজি না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয় এবং ‘ম্যানেজিং কমিটি’ গঠনের নীতিমালা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে কমিটি অনুমোদন করা হয়। তৎকালীন সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. জাহিদুর রহমানের যোগসাজশে কমিটি অনুমোদন করানো হয়, যা সম্পূর্ণ নীতিমালার পরিপন্থি। অভিযোগ ওঠে, সাবেক সভাপতি পালাতক ছিলেন। তবে, এ অভিযোগ মিথ্যা, কারণ প্রতিমাসে শিক্ষকদের বেতন উত্তোলনে সভাপতির স্বাক্ষর ছিল, যা পালাতক অবস্থায় সম্ভব নয়। এসব নথি বেতন শীট, নোটিশ, এবং রেজিস্ট্রেশন খাতা রক্ষিত রয়েছে। যথাযথভাবে তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
সাবেক সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, “আমার পিতা মরহুম নিছার উদ্দীন দফাদার এবং আমার চাচা আনছার উদ্দীন দফাদার ২০/০৫/১৯৭০ সালে ৩২৬৭ নং দলিলের মাধ্যমে বলাডাঙ্গা ছয়ঘরিয়া দাখিল মাদ্রাসার নামে জমি ওয়াকফ্ (দানপত্র) করে দেন এবং মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। এর পরেও ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল কুদ্দুস ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমাদের পরিবারের কোনো সদস্যকে দাতা সদস্য হিসেবেও অন্তর্ভুক্ত করেননি। তার এই গভীর ষড়যন্ত্রের কারণে প্রতিষ্ঠানটি আজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”
উল্লেখ্য, গত ৮ জুন ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি (৪র্থ বার) প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয় শূন্য পদে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং নবসৃষ্ট পদে নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া নিয়োগ দেওয়া হবে। এদিকে, পুর্বের আবেদনকৃত প্রার্থীদের বয়স শেষ হওয়া একাধিক প্রার্থীকে বহাল রেখে টানা ৪র্থ বারের নিয়োগ বোর্ড কিভাবে সম্পন্ন হবে? এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন সাবেক সভাপতিসহ স্থানীয়রা।