আশাশুনির উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমসহ ৩০ জনের নামে আদালতে মামলা
রঘুনাথ খাঁ ঃ মিছিলে গুলি করে এক যুবককে গুলি করে হত্যা ও চারজনকে গুলি করে জখম করার অভিযোগে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের হাজী মিনহŸাজউদ্দিনের ছেলে আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে সোমবার সাতক্ষীরার ৮নং আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক মোঃ সালাহউদ্দিন অভিযোগকারির দাখিলি দরখাস্তটি দি কোড অফ ক্রিািমনাল প্রসিডিওর ১৮৮৯ সালের ১৫৬(৩) ধারা মোতাবেক আদেশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এফআইআর হিসেবে গণ্য করে পুলিশ রিপোর্ট দাখিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অপর আসামীরা হলেন, আশাশুনি উপজেলার কল্যানপুরে গ্রামের মাষ্টার সামছুদ্দিন সানার ছেলে লিটন সানা, একই গ্রামের সুন্দর সানার ছেলে খোকন সানা, অলিদ গাজীর ছেলে শহীদুল গাজী, আমিন গাজীর ছেলে তৌহিদুল ইসলাম ও তার ভাই সাঈদ গাজী, ফজর আলী শেখের ছেলে সাইফুল শেখ, মোমিন সরদারের ছেলে মোতালেব সরদার, হযরত ঘরামীর ছেলে সোহরাব ঘরামী, ইমন আলী মল্লিকের ছেলে মোশাররফ হোসেন মোশা, মুনসুর গাজীর ছেলে মুরাদ মাষ্টার, অছেল মোল্লার ছেলে বক্কর মোল্লা, গণি মিস্ত্রীর ছেলে বাবু মিস্ত্রী ওরফে মাছ বাবু, হাশেম আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম, ঝাঁপা গ্রামের ধীরেন্দ্র নাথ রপ্তানের ছেলে ব্রজেন্দ্রনাথ রপ্তান নাকনা গ্রামের আব্দুল হামিদ গাজীর ছেলে আব্দুস সালাম চৌকিদার, একই গ্রামের হাকিম গাজীর ছেলে মারুফ গাজী, শ্রীউলা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল, মাড়িয়ালা গ্রামের আব্দুস সামাদ মোল্লার ছেলে আবু সাঈদ, গদাইপুর গ্রামের যশোমন্ত গাইনের ছেলে প্রদীপ কুমার গাইন, কুড়িকাহনিয়া গ্রামের হাজী শওকত আলীর ছেলে সোহরাব হোসেন, একই গ্রামের জবির হাওলাদারের ছেলে মাকছু হাওলাদার, একই উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের ওমর আলী সরদারের ছেলে আসাদুজ্জামান সরদার, দুর্গাপুর গ্রামের আসাদুল গাজীর ছেলে লিটন হোসেন,
দেবহাটা উপজেলার ঢেপুখালি গ্রামের মোসলেম গাজীর ছেলে মোকছেদুল আলম, সদর উপজেলার ভালুকাচাঁদপুর গ্রামের আইয়ুব আলী সরদারের ছেলে রিয়াজুল করিম, শহরের মুন্সিপাড়ার কালিপদ সরকারের ছেলে সদানন্দ সরকার, কালিগঞ্জের দুদলী গ্রামের আনছার আলীর ছেলে শুকর আলী, আব্দুল হামিদ গাইনের ছেলে আব্দুল মান্নান গাইন, শ্যামনগরের জেলিয়াখালি গ্রামের সন্দীপ কুমার মৃধার ছেলে উৎসব কুমার মৃধা।
মামলার বিবরনে জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালিন সময়ে ওই আন্দোলনকে পÐ করার জন্য শেখ হাসিনার নির্দেশে ও আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের পরিকল্পনায় প্রতাপনগর ইউপি’র তৎকালিন চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের বাড়িতে দুপুর একটার দিকে এক জরুরী মিটিং হয়। মিটিং চলাকালিন সময় বাদি ও কতক সাক্ষীগনসহ ১৫০ ঈশঈঔ ২০০টই ুঋকত টইকঋ ৫ আগষ্ট দুপুর দুইটার দিকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের চেষ্টাকালিন প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের বাড়ির সামনে রাস্তার উপর আসিলে আসামীরা মিছিলের কথা জানতে পেরে চেয়ারম্যান জাকিরের নেতৃত্বে মিছিলে হামলা করার পরিকল্পনা করে। বাদি ও সাক্ষীরা মিছিল নিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে আসা মাত্রই কোন কিছু বুঝে ওঠার আগে নির্বিচারে গুলি করতে থাকে। আসামী মোস্তাকিম, লিটন গাজী ও আবু হেনা শাকিলের গুলিতে বাদির কল্যানপুর গ্রামের নূর হাকিম ঘরামীর ছেলে বাদির চাচাত ভাই আবুল বাসার আদম জখম হন। এ সময় আসামীদের গুলিতে কুড়িকাহনিয়া গ্রামের আলী হাসান, একই গ্রামের রফিকুজ্জামান,প্রতাপনগর গ্রামের আমানুল্লাহ ও একই গ্রামের আলমগীর হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হয়। আলী হোসেনে ডান পায়ে গুলি লাগার ফলে তার পা কেটে ফেলতে হয়। বর্তমানে সে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল বাসার আদম মারা যায়। থানায় মামলা দিতে গেলে প্রধান ফটকে তালা মারা থাকায় বাদিকে ফিরে আসতে হয়।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. মামুন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।