ক্রয়কৃত পৈত্রিক ও রেকর্ডীয় সম্পত্তি জবর দখলের প্রতিকার দাবী
জি এম মুজিবুর রহমানঃ আশাশুনি উপজেলার বিছট গ্রামের ভূমিহীন পরিবারের ৪২ বছর আগে ক্রয়কৃত, রেকর্ডীয় পৈত্রিক সম্পত্তিতে ভিটেবাড়ি জবর দখল করে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভূমিহীন পরিবারটি ভিটেবাড়ী হারিয়ে এখর দারে দারে ঘুরছে। এব্যাপারে প্রতিকার প্রার্থনা করে সোমবার সকালে আশাশুনি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট গ্রামের ভূমিহীন মৃত ছবেদ গাজীর পুত্রবধু আছমনি খাতুন ও পুত্র রহমত গাজী জানান, নদী ভাঙ্গন কবলিত হয়ে তারা ভিটেবাড়ী হারা হয়েছেন। তাদের পিতা ১৯৮২ সালে বল্লভপুর মৌজায় ২২০ খতিয়ানে ২৬৭ দাগে ০৬ শতক জমি ক্রয় ও স্বনামে রেকর্ড করেন। এটিই তাদের পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত ভাইবোনদের একমাত্র সম্পত্তি। যা ঘেরাবেড়া ও বাড়িঘর নির্মান করে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু ভূমিদস্যু মোক্তার হোসেন মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ভাঙিয়ে এবং নিজের একপুত্র পুলিশে চাকুরি করায় তার ক্ষমতা দেখিয়ে তাদেরকে উচ্ছেদ করে ঘেরাবেড়া ও ঘরবাড়ি করার চেষ্টা করেন। সবশেষ গত ২৫ আগস্ট তাদের সর্বশ্ব জবরদখল করে নেয়া হয়। তারা সম্পূর্ণভাবে ভূমিহীন হয়েগেছে, মাথা গোজারমত কোন ঠাঁই নাই। প্রায় ১০০ বিঘা জমি ও বিপুল টাকার মালিক মোক্তার ইতিপূর্বে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটনের ছত্রছায়ায় তাদের ভিটেবাড়ির গাছগাছালি কর্তন, বসতঘর, রান্নাঘর, পায়খানা ঘরসহ সবকিছু গুড়িয়ে দিয়েছে। ৫০ হাজার টাকার মূল্যবান গাছ কেটে সাবেক চোয়ারম্যানকে দিয়েছে। ফলে চেয়ারম্যানের মদদে মোক্তাররা নির্ভয়ে অপরাধ করে এসেছে। ভূমিহীন হলেও তাদেরকে (রহমত গাজী দিং) আবাসন কর্মসূচি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এখন তাদের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো ছাড়া কোন ঠাঁই নাই। এব্যাপারে জবরদখলকারী মোক্তারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে অসহায় ভূমিহীন পরিবারকে রক্ষার জন্য প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেছেন ভুক্তভোগি রহমত ও আছমনি খাতুন।