সংস্কার শুরু হয়েছে দেবহাটার ইছামতির নদীর ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাঁধে

নিজস্ব প্রতিনিধি :সাতক্ষীরার দেবহাটার সীমান্ত নদী ইছামতির দূর্বল ও ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। বাধ সংস্কারের কাজ পরিদর্শন করেছেন দেবহাটা ইউএনও মোঃ আসাদুজ্জামান ও সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সালাউদ্দীন।রবিবার ২৫ আগষ্ট দুপুর ২টার দিকে তিনি অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে কাজ পরিদর্শন করেন।ভারত-বাংলাদেশ বিভাজনকারী সীমাবর্তী নদী ইছামতির ভাতশালা ও কোমরপুরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে গত কয়েকদিনের অতি বর্ষন ও দীর্ঘদিন সংস্কার না করায বেড়িবাঁধগুলো ভাঙ্গনের উপক্রম হয়েছিল।ক্রমশ ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে নদীর বাধ শেষ হতে বাকি আছে মাত্র কয়েক ফুট। যে কোন সময় ভেঙ্গে গোটা এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংঙ্কা বিরাজ করছিল। বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হলে মানুষের জানমাল, ফসলি জমিসহ লাখ লাখ টাকার সম্পত্তি রক্ষা করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা। এবিষয়ে গত কয়েকদিনের জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের।সরেজমিনে দেখা গেছে, দেবহাটার ইছামতি নদীর ভাতশালার বিশ্বাস বাড়ি এলাকা, কোমরপুর, সুশীলগাতী, বসন্তপুর ও নাংলা এলাকার বেড়িবাঁধ বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে বেড়িবাঁধের এক-তৃতীয়াংশ ভেঙ্গে নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। একাধিক বার সংস্কার কাজে লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা কাজে আসেনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে মূর্হুত্বের মধ্যে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্খা রয়েছে। প্লাবিত হলে লোনা পানি ঢুকে হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল ও মৎস্য ঘের ভেসে যাওয়া সহ শতশত পরিবার পানি বন্দি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বর্তমানে উক্ত এলাকার মানুষের দিন কাটছে আতঙ্কে। স্থানীয়রা নদীর মুল বেড়ি ছিদ্র করে পানি উত্তোলন ও নদীতে ঠেলা জাল ফেলা নদী ভাঙ্গনের প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করেন। গত শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান,
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বকুল, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সালাউদ্দীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত কাজের আশ্বাস দেন। অপরদিকে, ভাতশালা এলাকায় নদী বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় ঢাকাস্থ দেবহাটা উপজেলা সমিতির তাহাজ্জত হোসেন হিরু, খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে গত ২২ আগস্ট পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে স্বাক্ষাত করেন। পরে বাঁধ রক্ষায় তাৎক্ষণিক বাঁধ রক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এছাড়া ওই স্থানটিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস প্রদান করেন বলে জানা গেছে।তারই সূত্র ধরে ২৫ আগস্ট রবিবার থেকে উপজেলার ভাতশালা ও কোমরপুর এলাকার বাধ সংস্কারের জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান ও সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সালাউদ্দীন দুপুরে বাঁধ সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন। এসময় ইউএনও মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, নদীর বাঁধ রক্ষা কাজ শুরু করা হয়েছে। যাতে করে নদী পাড়ের মানুষের জানমালের ক্ষতি না হয় সে বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। সেই সাথে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের সচেতন করা হচ্ছে। তিনি এখানে স্থায়ী বাঁধ নির্মানের যথাযথ প্রক্রিয়া করা হবে বলে জানান।

 

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)