কালিগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় বারি আটক
হাফিজুর রহমান :সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের পরিচয়ের সূত্র ধরে একাধিক ডিভোর্সি ১ সন্তানের জননী কে বিয়ের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের ঘটনার মামলায় বহুল আলোচিত একাধিক বিয়ের নায়ক কথিত সাংবাদিক পরিচয় দানকারী কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্য এবং চাম্পাফুল আঞ্চলিক প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক, ডিবি, বারি পুলিশের হাতে আটক। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার সময় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চাচাই গ্রামে। পুলিশের হাতে আটককৃত আব্দুল বারী গাজী (৪০) উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের উজিরপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম গাজীর পুত্র। উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগী ধর্ষিতা ডিভোর্সী নারী বাদী হয়ে গতকাল কালিগঞ্জ থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ১০। থানার মামলা সূত্রে জানা যায় কালিগঞ্জ থানার উজিরপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম গাজীর পুত্র কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্য ও চাম্পাফুল আঞ্চলিক প্রেস ক্লাবের সংগঠনিক সম্পাদক পরিচয় দানকারী কথিত সাংবাদিক একাধিক বিয়ের নায়ক ২ সন্তানের জনক ডিবি আব্দুল বারী পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে উপজেলার একাধিক ডিভোর্সি কন্যার নিকট হতে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে বিয়ের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে দীর্ঘ ১ বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছিল। পরে বিয়ে করতে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করলে গত শুক্রবার ভুক্তভোগী ওই নারী বাড়িতে দাওয়াতের নাম করে ডেকে আনে। দাওয়াত খেতে আব্দুল বারি ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করার সাথে সাথে ওত পেতে থাকা স্থানীয় লোকজন বাইরে থেকে তালা দিয়ে আটকে রেখে উত্তম মধ্যম দিয়ে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে থানার উপ পরিদর্শক রাজিব ঘটনাস্থল থেকে আব্দুল বারী এবং ওই মহিলাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ভুক্তভোগী ধর্ষিত ঐ নারী গতকাল থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে কথিত সাংবাদিক আব্দুল বারীকে আটক দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। অন্যদিকে ভুক্তভোগী এই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল এবং জবানবন্দী গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ওই নারী সাংবাদিকদের জানায় দীর্ঘ ১ বছর ধরে বিয়ের আশ্বাসে তার নিকট থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করে আসছে। বিয়ের কথা বললেই সে বিভিন্ন তালবাহানা করে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। ঘটনার আরো সত্যতা জানার জন্য কথিত সাংবাদিক পরিচয়দানকারী আব্দুল বারির নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, পূর্ব পরিচয় সূত্র ধরে তার বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে আটকে পুলিশে খবর দিয়ে ধরিয়ে দেয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক রাজিব জানান, ঘটনার খবর পেয়ে দুজনকে আটক করে থানায় আনা হয় পরে ভুক্তভোগী ওই নারীর মামলায় তাকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে