সাতক্ষীরায় কিশোর গ্যাং লিডার সুলতানসহ কয়েকজন দূর্বৃত্ত কর্তৃক সাংবাদিক রবিউলের দুই পুত্রকে মারপিট ও মারত্বক জখমের অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা শহরের পাকাপোলের মোড় সংলগ্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং লিডার সুলতান ও বাবুর নেতৃত্বে কয়েকজন দূর্বৃত্ত পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিক রবিউল ইসলামের দুই পুত্রকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট ও মারত্বক জখম করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় সাংবাদিক রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। কিশোর গ্যাং লিডার সুলতান শহরের পলাশপোল এলাকার মন্টুর পুত্র ও বাবু একই এলাকার টুকুর পুত্র। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে শহরের পাকাপোলের মোড় সংলগ্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং লিডার সুলতান ও বাবুর নেতৃত্বে ৪/৫ জন দূর্বৃত্ত আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা গ্রামের নবমুসলিম আব্দুল্লাহ গাজীকে মারপিট করে এবং তার কাছ থেকে তার মানি ব্যাগসহ নয় হাজার টাকা ছিনতায় করে নেয়। এসময় সাংবাদিক রবিউল ইসলামের বড় ছেলে আল শাহরিয়ার রুমনসহ একাধিক ব্যক্তি ঠেকানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তারা রুমনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হুমকি দেয়। এর কিছুক্ষন পর ঘটনা স্থল থেকে রুমন নিউ মার্কেট এলাকায় যাওয়ার পথিমধ্যে ভূমি অফিসের সামনে গেলে উক্ত দুর্বৃত্তরা তার মোটরসাইকেল থামিয়ে মারপিট শুরু করে। একপর্যায়ে তাদের মারপিটি তার মাথা ফেটে যায় ও বাম চোখ মারাত্বক জখম হয়। এসময় সাংবাদিক রবিউল ইসলামের ছোট ছেলে মেহেরব রুহান ঘটনা স্থালে এসে তার ভাইকে মারাত্ব জখম অবস্থায় দেখে কাঁদতে কাঁদতে সে তার ভাইকে ঠেকাতে যায়। এ সময় উক্ত দূর্বত্তরা তার উপরও আক্রমন করে। তার মাথায় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এবং শরীরিরের বিভিন্ন জায়গায় মারপিট ও জখম করে। একপর্যায়ে তারা যখন দুই ভাই গুরুতর আহত হয় তখন দূর্বত্তরা তাদের পালসার মটরসাইকেলের চাবি ছিনিয়ে নিয়ে এতে অগ্নি সংযোগের জন্য পেট্রোল ঢেলে দেয়। আহত দুই ভাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য হওয়ার তাদের অন্য ছাত্র-ছাত্রীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তারা গুরুতর আহত অবস্থায় সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। লিখিত অভিযোগে তিনি আরো উল্লেখ করেন, উক্ত দূর্বৃত্তরা এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী, ছিনতাইকারী ও অস্ত্রধারী। তিনি তার সন্তানদের ক্ষয়ক্ষতিসহ ন্যায় বিচার ও জীবন নাশের হুমকি থেকে সুবিচার পেতে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।