তালায় কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূণীতির অভিযোগ

ইমরান হোসেন :সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মাগুরা আইডিয়াল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ রাম প্রসাদ দাশের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্ণিতীর অভিযোগ উঠেছে।দলীয় প্রভাব, নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ, সেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দূর্ণিতী তার দৈনিন্দন সংঙ্গী। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকলেও নিয়মিত বেতন-ভাতা গ্রহণ করেছেন তিনি। জানা যায়, সাচিবিক পদে যোগদান করে বিভিন্ন কুট কৌশলে সরকারী দলের প্রভাব খাটিয়ে রাতারাতি কলেজের অধ্যক্ষ বনে যান এই সুচতুর রাম প্রশাদ দাশ। প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত উপস্থিত না থেকে সেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বেতন-ভাতা উত্তোলন, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা হাতানো, বেতন করানোর কথা বলে শিক্ষকদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় সহ তার বিরুদ্ধে এসকল অভিযোগ রয়েছে। সাবেক এমপি এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লার সাথে ঘনিষ্টতার সূত্রে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই অধ্যক্ষ। সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিষ্ঠানের গাছ কেঁটে নেয়া ও সাইক্লোন সেন্টারের জায়গা দখল করে ক্লাসরুমও বানিয়েছেন আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এই নেতা। সরকারী দলের নেতা হওয়ায় তার এ সকল অপরাধের প্রতিবাদ করতে পারেনি কেউ। এমনকি কলেজে উপস্থিত না হয়ে নিয়মিত দলীয় কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ তার নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। বুধবার (২১ আগষ্ট) সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে এই অধ্যক্ষের অফিস বন্ধ পাওয়া যায়। কিছু দিন অধ্যক্ষ কলেজে আসছেন না বলে জানান তার সহকর্মীরা।এসময় প্রভাষক মোঃ আরিফুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ, সন্দিপ দাশ, পরেশ কুমার পাল, শহিদুল ইসলাম, পবন কুমার সরদার, সুমন কুমার সেন জানান, আমরা নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে কিছুই জানি না। তবে এমপিও ভূক্তি পর বেতন করানো ও নিয়োগ বানিজ্যের কথাটা অকপটে স্বীকার করেন তারা। কলেজের গাছ কেটে চেয়ার- টেবিল বানানো ও ভবনের ইট দিয়ে সাইক্লোন সেন্টারের নিচতলায় দুইটা রুম করা হয়েছে বলে জানান তারা। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শেখ জহুরুল হক জানান, অধ্যক্ষ নিয়োগের সময় আমরা প্রতিবাদ করলে তিনি সভপতিকে ম্যানেজ করে কৌশলে নিজের নিয়োগ সম্পন্ন করেন। এরপর বিভিন্ন সময় শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের সময় প্রতি প্রার্থীর কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন এই অধ্যক্ষ। এমপিও ভূক্তির পরে টাকার হিসাব দেয়ার কথা থাকলেও তিনি কোনো হিসাব দেননি। অধ্যক্ষ রামপ্রসাদ দাস হোয়াটসাপ নাম্বারে মাসেজ পাঠালে তিনি জানান, ২০ বছর প্রতিষ্ঠানে বেনা বেতনে কাজ করেছি। বিগত ১২ বছরে একদিনও ছুটি ভোগ করিনি। গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ষ্টাটাস দিয়ে রাজনীতি ছেড়েছি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)