এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ কবে, জানা গেলো

অনলাইন ডেস্ক:

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। পরীক্ষাগুলো আর না হওয়ায় কীভাবে ফলাফল তৈরি ও কবে প্রকাশ করা হবে, তা নিয়ে জানতে উদগ্রীব পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। আগামী ৪০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ হতে পারে বলে জানা গেছে।

শিক্ষা বোর্ডগুলোর কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে বুধবার প্রথম বৈঠক করেছেন। সেখানে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সিস্টেম অ্যানালিস্টরা বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। তার মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য আলোচনা ছিল, অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোর নম্বর এবং যেগুলো হয়নি সেগুলোর সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল প্রস্তুত করা। বৈঠকে অংশ নেয়া একাধিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, ৪০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রস্তুত করে প্রকাশের প্রাথমিক রূপরেখা ঠিক করা হয়েছে। ফল প্রস্তুতে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

১১টি শিক্ষা বোর্ড নিয়ে গঠিত মোর্চা আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। এ কমিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে রয়েছেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার। তিনি বলেন, যে প্রক্রিয়ায় ফল প্রস্তুত করা হোক না কেন, পরীক্ষার্থীরা যেন সর্বোচ্চ সুবিধা পায় সেভাবেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

কোনো পরীক্ষার্থীর যদি এসএসসিতে নম্বর খারাপ থাকে, তবে কীভাবে সাবজেক্ট ম্যাপিং হবে এ বিষয়ে অধ্যাপক আবুল বাশার জানান, এসএসসিতে খারাপ থাকলে জেএসসির ফল বিবেচনা করা হবে। জেএসসিতে খারাপ হলে যে সাত বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছে সেগুলোতে কেমন ফল করেছে, সেটিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সর্বোপরি যেখানেই শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ বেনিফিট দেওয়া যায়, আমরা সেটিই দেবো।

গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম দফায় প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর আর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।

সময়সূচি অনুযায়ী এখনো ১৩ দিনের মোট ৬১টি বিষয়ের পরীক্ষা গ্রহণ বাকি ছিল। বিভিন্ন বিভাগের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) বিভিন্ন বিষয় থাকায় এতগুলো পরীক্ষা স্থগিত ও পরে বাতিল করা হয়।

যদিও প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১৩টি বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। এরমধ্যে রয়েছে আবশ্যক বাংলা ও ইংরেজির চারটি বিষয় (প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র) ও আইসিটি। বাকি ৮টি বিষয় ঐচ্ছিক (বিভাগভিত্তিক)। সিলেট বোর্ড ছাড়া বাকি বোর্ডগুলোর আবশ্যক ছয়টি এবং কেউ কেউ বিভাগভিত্তিক একটি পরীক্ষাসহ ৭টি পরীক্ষা দিয়েছেন। ফলে কারো ছয়টি, কারো সাতটি পরীক্ষা বাতিল হয়েছে, যেগুলো সবই বিভাগভিত্তিক।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)