গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনিশ্চিত রেখেই মধ্যপ্রাচ্য ছাড়লেন ব্লিঙ্কেন
আন্তজার্তিক ডেস্ক:হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনিশ্চিত রেখেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মধ্যপ্রাচ্য ত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দোহা থেকে ওয়াশিংটন ফিরে আসার মাধ্যমে তার এবারের সফর শেষ হয়।ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী বিনিময় প্রচেষ্টায় গতি আনতে নবমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্য সফরে এসেছিলেন তিনি। তবে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি এখনো অধরা রয়ে গেছে।ওয়াশিংটনের উদ্দেশে দেশে রওনা হওয়ার আগে তিনি দোহায় সাংবাদিকদের বলেছেন, চুক্তিটি দ্রুতই সম্পন্ন করা প্রয়োজন। ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে উল্লেখ করে হামাসকেও তা মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।প্রায় এক বছর ধরে যুদ্ধের নামে গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। যুদ্ধের এক মাসের মাথায় একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও এখন পর্যন্ত আর কোনো চুক্তি হয়নি। তবে কয়েক মাস থেমে থাকার পর গত সপ্তাহে আবারো যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু হয়েছে। যদিও এই আলোচনা কোনো বড় ঘোষণা ছাড়াই স্থগিত করা হয়েছে। তবে আগামী সপ্তাহে পুনরায় আলোচনা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেনের সফরসঙ্গী ও বাইডেন প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা।মঙ্গলবার মিসরীয় প্রেসিডেন্ট আবদেল-ফাত্তাহ এল-সিসির সঙ্গে আলোচনার জন্য মিসরে যান ব্লিঙ্কেন। সেখান থেকে কাতারে যান তিনি। এ ছাড়া সোমবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া প্রস্তাব মেনে নিয়েছে ইসরায়েল। তাই যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাব হামাসকেও মেনে নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।এবারের চুক্তিটি গাজা ও মিসর সীমান্তের মধ্যকার কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ফিলাডেলফি করিডোর থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের ওপর নির্ভর করছে। নেতানিয়াহুর দাবি, গাজায় অস্ত্র পাচার বন্ধ করার জন্য তাদের সেখানে সেনা রাখতে হবে। তবে ইসরায়েলের এমন দাবির বিরোধিতা করে আসছে মিসর ও হামাস।