দরগাহপুরে অফিস বাসা ভাংচুর, ঘেরের মাছ ও মালামাল লুট
জি এম মুজিবুর রহমানঃ আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুরে এক ইউপি সদস্যের অফিস, সুফলভোগিদের মাছের ঘের ও বাসা ভাংচুর, মাছ ও মালামাল লুট, অগ্নিসংযোগ ও জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে সেনাবাহিনী ও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে দরগাহপুর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে ইউপি সদস্য জি এম মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য সুফলভোগিদের অফিস, বাসা ও মাছের ঘেরে। মেম্বর মুজিবর রহমান জানান, তিনি রামনগর বাজারে নিয়ম অনুযায়ী জমি ক্রয় করে ব্যক্তিগত অফিস (পাকা ঘর) নির্মান করে দীর্ঘকাল ভোগদখল করে আসছেন। তিনি মেম্বর হওয়ার ইউপি চেয়ারম্যান মাঝেমধ্যে অফিসে বসতেন। মেম্বর বিএনপি করতেন। মেম্বার হওয়ার পর চেয়ারম্যানের সাথে তার সুসম্পর্ক থাকায় একসাথে চলতেন। গত ৬ আগস্ট স্থানীয় জাহিদুলজাহিদুল ও সাইদুলের নেতৃত্বে রবিউল, হায়দার, লিটন, মিলন, শরিফুল, মতিসহ ১০/১২ জন তার অফিস ঘরের তালা ভেঙ্গে অফিসের আসবাব, ৩২ ইঞ্চি স্মার্ট মনিটর, ঘড়ি, সিলিং ফ্যান, ১টা বড় চেয়ারম্যারসহ ২৩টা চেয়ার, ১২টা টুল ও কাগজপত্র ভাংচুর, আগুনে জ্বালিয়ে দেয় ও আত্মসাৎ করে। একই সাথে তারা তাদের ৬.৯০ একর জমির মৎস্য ঘেরের বাসা ভাংচুর, মাছ লুটপাট ও অফিস, ঘের জবর দখল করে নেয়। অফিসে জবর দখলকারীরা চা বিক্রয় দোকান চালু করেছে বলে তিনি জানান। এব্যাপারে সেনাবাহিনীর কাছে ও পরবর্তীতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু এখনো কোন প্রতিকার পাননি বলে জানান। সুফলভোগিদের মধ্যে মোর্তাজুলের পিতা রমজান আলী ফকির জানান, তারা দীর্ঘকাল যাবৎ সরকারি ইজারা মূল্য পরিশোধ করে নিয়ম মেনে মাছ চাষ করে আসছেন। উপরোক্ত জবরদখলকারীরা বাসাবাড়ি ও ঘেরের বাসা ভাংচুর, মাছ লুটপাট করে নেয়। তিনি বলেন, ২০১১ সালে একইভাবে তারা জবর দখল ও লুটপাট করেছিল। প্রশাসনকে জানালে তারা ঘের দখল ছেড়ে দিয়েছিল। সুফলভোগি মোসলেম গাজী একই অভিযোগ করেন। জবরদখল ও লুটপাটকারী ৪/৫ লক্ষ টাকার মালামাল লুট ও ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে। এব্যাপারে তারা প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।