বাঁধনকে অ্যাসিড মারতে চাওয়া হয়েছিল
বিনোদন ডেস্ক:বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক হয়েছিল গোটা দেশ। বিনোদন অঙ্গনও ছিল সেই মিছিলে। ছাত্র-ছাত্রীদের হয়ে সামাজিক মাধ্যমে ও রাজপথে গলা চড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন ও অভিনেতা খায়রুল বাশার।তবে ফলাফল সুখকর ছিল না। শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের গানে শামিল হওয়ায় বাঁধন-বাশারের মুঠোফোন, মেসেঞ্জার গিজগিজ করেছে হুমকি-ধামকিতে। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি জানিয়েছেন বাঁধন ও বাশার।বাঁধন বলেন,আমি যেদিন থেকে ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনে মাঠে নামি, ওই দিন থেকেই আমাকে ফোনে, খুদে বার্তায়, ফেসবুকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিল। অ্যাসিডও মারতে চেয়েছে। আমি ভয় পাইনি। কারণ, একসঙ্গে আন্দোলনের দিনগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের চোখে-মুখে যে আগুন দেখেছি, আমি নিজেই তাদের কাছ থেকে সাহস সঞ্চার করেছি।কয়েকজন সহশিল্পীর আচরণও ছিল অপ্রত্যাশিত। এরকম উল্লেখ করে বাঁধন বলেন, ‘বলতেও খুব খারাপ লাগে, সহশিল্পীদের মধ্যে অনেকের সঙ্গে আমার কাজও হয়েছে, তারা ছাত্রদের পক্ষে মাঠে তো ছিলেনই না, উল্টো আমাকে ভয় দেখিয়েছেন, ব্যঙ্গবিদ্রূপ করেছেন। তাদের এমন কাজে কষ্ট পেয়েছিলাম। তবে তাদের প্রতি আমার এখন কোনো বিদ্বেষ নাই। প্রতিহিংসা মানুষ, দেশকে পিছিয়ে দেয়।খায়রুল বাশার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের হয়ে কথা বলার কারণে অনেক অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন এসেছে। ফেসবুক মেসেঞ্জারে অনেকেই হুমকি দিয়েছেন। সেগুলো আমলে নিইনি। কারণ, আমি কোনো দলের নই। এই যে মানুষ মারা হচ্ছিল, আমি তার জন্য কথা বলেছি। আমি অন্যায়কে অন্যায় বলেছি। কথা বলার স্বাধীনতা আমার থাকতে হবে। আপনি লক্ষ করবেন, আমি শুধু এখন নয়, সব সময়ই ন্যায়কে ন্যায় বলেছি। আমি অন্যায় নিয়ে লিখেছি। যারা সমালোচনা করেছেন, তাদের গঠনমূলক জবার দিয়েছি।এদিকে বাঁধনের চোখ এবার রাষ্ট্র সংস্কারে। আন্দোলন পরবর্তী সময়েও ছিলেন সোচ্চার। মাঝরাতে ডাকাত প্রতিহত করতে বটি হাতে নেমেছিলেন রাস্তায়। অন্যদিকে খায়রুল বাশারও কাজে ফিরেছেন। এরইমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ‘মেঘদল’ নামের একটি নাটক।