নারিকেলতলা ট্রাক-ট্যাংকলরী-ট্রাক্টর ও কার্ভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটির বিরুদ্ধে শ্রমিকদের অনাস্থা প্রস্তাব
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক-ট্যাংকলরী-ট্রাক্টর ও কার্ভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন নারিকেলতলা এর নিয়মিত চাঁদা প্রদানকারী ৭০৩ জন সদস্য বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে গতকাল কার্যকরী কমিটির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ইউনিয়নের শ্রমিকরা। অনাস্থা প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয় বর্তমান কমিটি অবৈধ ও অনির্বাচিত কমিটি। অত্র সৎগঠনের অনুমোদিত গঠনতন্ত্রের ধারা নং-১৬ এবং ধারা নং-১৫ অনুযায়ী অত্র শ্রমিক ইউনিয়নের যাবতীয় সম্পদ ধার-দেনা এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব পরীক্ষার জন্য কার্যকরী কমিটি কর্তৃক নিয়োজিত অডিটর দ্বারা বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ সংশোধিত-২০১৩-এর ২০১ (১) ধারা এবং বাংলাদেশ শ্রমবিধিমালা-২০১৫ এর ১৭৫ নং বিধি অনুযায়ী বছরে একবার আয়-ব্যয়ের হিসাব নিরীক্ষা করাতে হবে এবং সাধারণ সভায় তা অনুমোদন করে প্রতি বৎসর ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বাংলাদেশ শ্রমবিধিমালা-২০১৫ এর ১৭৬ (১) বিধি মোতাবেক ফরম ৬১ (ক) ও (ঘ) অনুসারে বার্ষিক রিটার্ন শ্রম পরিচালক ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন-এর দপ্তরে দাখিল করতে হবে। তাছাড়া অনুমোদিত গঠনতন্ত্রের ধারা নং-১৯ মোতাবেক প্রতি ০৩ বৎসর অন্তর গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে। কিন্তু গঠনতন্ত্রের প্রতি বর্তমান কমিটি বৃদ্ধাঙ্গালি প্রদর্শন, রাজনৈতিক প্রভাব ও পেশি শক্তির বলে দীর্ঘ ১২থেকে ১৪ বছর যাবৎ কোনরূপ সাধারণ সভা ও নির্বাচন না করিয়া শুধুমাত্র কাগজে-কলমে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ও পেশি শক্তির বলে বর্তমান কমিটি ক্ষমতায় রয়েছে। অনাস্থা প্রস্তাবে আরো বলা হয় সংগঠনের নিজস্ব নামে ও অর্থায়নে ৫ টি ট্রাক ক্রয় করা হয়েছিল কিন্তু সেই ৫ টি ট্রাক সাধারণ শ্রমিকদের অগোচরে কোন রূপ সাধারণ সভার অনুমোদন না নিয়ে বর্তমান কমিটি ৫টি ট্রাকই বিক্রয় করিয়া লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। তাহা ছাড়া ভোমরা স্থল বন্দরে ট্রাক পার্কিং হইতেও ২০থেকে ৩০ লক্ষ টাকা সংগঠনের নামে চাঁদা আদায় করে আত্মসাৎ করেছে উক্ত অবৈধ কমিটি। শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য শেখ মিলন রহমান, মো. মজনু মো. রেজাউল ইসলামসহ শ্রমিকরা জানান, অবৈধ কমিটির অন্যায় ও অর্থ আত্মসাৎ-এর প্রতিবাদ করিলে সাধারণ শ্রমিকদের উপর নেমে আসে নির্যাতন বহিস্কার ও নির্মম অত্যাচার। যার উদাহরণ প্রতিবাদ কারী বহু শ্রমিকের পরিচয় পত্র নবায়ন না করিয়া আটক রাখা হইয়াছে। যে কারনে শ্রমিকরা ফুসে উঠেছে। তাই শ্রমিকরা উক্ত দুর্নীতিবাজ, অর্থ আত্মসাৎকারী ও সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের কারনে বর্তমান কমিটির প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে।