নড়াইলে বিএনপির শান্তি সমাবেশে জাহাঙ্গীর আলম দলের নির্দেশনা মেনে চলার নির্দেশ
নড়াইল প্রতিনিধি:বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নড়াইলের কালিয়া উপজেলা শাখা গতকাল বিকেলে স্থানীয় ডাকবাংলো চত্বরে শান্তি সমাবেশ করেছে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন গত কয়েকদিন দিন আগে সিঙ্গাপুরি চিকিৎসাধীন ছিলাম। তারপরও নড়াইলের নড়াগাতি থানার নাশকতার মামলার আসামি আমি ।সভায় সভাপতিত্ব করেন কালিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সরদার আনোয়ার হোসেন। বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা ওয়াহিদুজ্জামান মিলু,আবু রেজাই রাব্বী কামাল প্রমুখ।প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম বলেন বিগত ১৭ বছরের রাজত্বকালে শেখ হাসিনা সরকার বিএনপির কোন মেধাবী সন্তানকে সরকারি চাকুরি দেয়নি। অত্যাচার, নির্যাতন,নাশকতা মামলা দিয়ে ঘর ছাড়া করেছে। ফ্যাসিষ্ট এই সরকারের পতন হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। দেশে অর্ন্তবতীকালীণ সরকার গঠন হওয়ায় মানুষ মনের ভাবপ্রকাশের সুযোগ পেয়েছে। এক দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে তিনি বলেন,দেশে আয়না ঘর নামে নতুন একটি অত্যাচারের কক্ষ খোলা হয়েছে। সেই কক্ষে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মিদের আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে তাদের মেধা। তিনি বলেন,আমি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় এই জালেম সরকার আমার নামেও নাশকতা মামলা দিয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের কাছে তাদের মৃতদেহ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা আমাদের কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। নির্দেশনা অবমাননাকারীদের দল থেকে বহিস্কার করা হবে। সুবিধাবাদী কোন লোক যেন দলে অনুপ্রবেশ করতে না পারে। দলের চেয়ারম্যান বলেছেন হিন্দু ভাইদের প্রতি সহানুভূতিসহ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের সঙ্গে বন্ধু সূলভ আচরণ করতে হবে। শান্তি সমাবেশ শুরুর আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে কয়েক হাজার নেতাকর্মী বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে সমাবেশ স্থলে জড়ো হতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে সমাবেশ স্থল জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সমাবেশস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্যকে দেখা না গেলেও সমাবেশ হয়েছে শান্তিপূর্ণ।