অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-চীন-ইইউ
ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তারা সবাই সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ও পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছে।বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, বাংলাদেশে চলমান সহিংসতা বন্ধে ড. ইউনূসের আহ্বানকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ড. ইউনূস বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ তৈরি করতে চায়। তাই আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার কূটনীতিক হেলেন লা ফাভে উপদেষ্টাদের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানান ম্যাথু মিলার।এদিকে, বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানিয়ে ইইউয়ের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, ইইউ বাংলাদেশের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের জটিল এ কাজে তাদের সহায়তা করা হবে ও এই প্রক্রিয়া অবশ্যই শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে।অন্যদিকে, শুক্রবার চীন জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানায়। বিনিময় ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে এই সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন আন্দোলনের মুখে সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। ঐদিন বিকেলেই জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।শান্তিতে নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টাসহ এই সরকারে আছেন ১৭ জন।বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর বঙ্গভবনের দরবার হলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও ১৩ জন উপদেষ্টাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। উপদেষ্টাদের তিনজন ঢাকার বাইরে থাকায় তারা এদিন শপথ নিতে পারেননি।