সাতক্ষীরার একজন সাংসদ, দুটি পত্রিকা অফিস সহ ৫০টির বেশি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা

নিজস্ব  প্রতিনিধি ঃ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর সোমবার রাত ১০টার পর থেকে পরবর্তী ১৬ ঘণ্টায় সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ, দুইজন ইউপি চেয়ারম্যান, দুটি পত্রিকা অফিস,, একজন চিকিৎসকের বাড়ি, আওয়ামীলীগ সভাপতিসহ কমপক্ষে ৫০টি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর , লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হামলায় নয়জন নিহত ও কমপক্ষে ১০জন জখম হয়েছেন। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় জেলখানা থেকে চলে যাওয়ার সময় আসামী ও কারা কর্তৃপক্ষের সাথে হাতাহাতিতে কমপক্ষে ৫৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে ২১ জন কারারক্ষী ও কর্মকর্তা। এসময় আন্দোলনকারীরা শতাধিক কারারক্ষীর রেশন, পিসি কার্ডের টাকা ও ক্যান্টিনের ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা লুটপাট করে। তবে চলে যাওয়া ৫৯৬ জন আসামীর মধ্যে অনেকেই মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে আবার কারাগারে ফিরে এসেছে। শহরের জীবনযাত্রা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। যানবাহন চলছে কম। মঙ্গলবার রাতেও অনেকেই সহিংসতার আশংকা করছেন। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পদত্যাগের পর দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া শেখ হাসিনার নেতাকর্মীদের উপর সোমবার রাত ১০টার পর থেকে নতুন করে হামলা চালায় আন্দোলনকারিরা। তারা সংরক্ষিত নারী সাংসদ লায়লা পারভির সেঁজুতির বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে একটি মোটর সাইকেলসহ দৈনিক পত্রদূত পত্রিকা অফিসে আগুণ লাগিয়ে দেয়। পরে তার ব্যবহৃত নতুন নোহা গাড়িটি বাইপাস সড়কে নিয়ে পুড়িয়ে দেয়। প্রায় একই সময় আন্দোলনকারীরা শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় দৈনিক কালের চিত্র অফিসে লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করে।এদিকে কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সজল মুখার্জীর বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। একই উপজেলার শ্রীধরকাটি গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সিদ্দীকুর রহমানের বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। ভাংচুর ও লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয় শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান অসীম মৃধা, বুড়িগোয়ালিনীর ডালিম ঘরামী, ভবতোষ মন্ডল সহ ৭টি বাড়িতে। ভাংচুর ও লুটপাট করা হয় দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফারুক হোসেন রতনের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ওরফে সাহেব আলীর অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। শ্যামনগরের রমজাননগর গ্রামের হরিপদ বর্মন ও অরুন বর্মনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট শেষে তাদেরকে কুপিয়ে জখম করা হয়।সোমবার রাত ১০টায় সদর উপজেলার মৃগীডাঙা গ্রামের জাহিদ, মুকুল, ফারুক ও ঘোনা গ্রামের সাইফুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এসময় মারাত্মক জখম হয় মৃগীডাঙা গ্রামের আশরাফুল ইসলাম ও মোস্তফা কামাল। তালা উপজেলার কুমিরায় কমপক্ষে ২০টি হিন্দুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর করা হয়। এছাড়া বাড়ি ভাংচুর না করার শর্তে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় জেলখানা থেকে চলে যাওয়ার সময় আসামী ও কারা কর্তৃপক্ষের সাথে হাতাহাতিতে কমপক্ষে ৫৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে ২১ জন কারারক্ষী ও কর্মকর্তা। এসময় আন্দোলনকারীরা শতাধিক কারারক্ষীর রেশন, পিসি কার্ডের টাকা ও ক্যান্টিনের ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা লুটপাট করে। তবে চলে যাওয়া ৫৯৬ জন আসামীর মধ্যে অনেকেই মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে আবার কারাগারে ফিরে এসেছে। শহরের জীবনযাত্রা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। যানবাহন চলছে কম। মঙ্গলবার রাতেও অনেকেই সহিংসতার আশংকা করছেন। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার কোন প্রশাসনিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

 

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)