ইরানে ঢুকে হত্যা করা হলো হামাস প্রধানকে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে ইরানের রাজধানী তেহরানে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানি গণমাধ্যম। ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনী বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসমাইল হানিয়া তার এক দেহরক্ষীসহ তেহরানে নিহত হয়েছেন।
ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পরপরই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে তেহরানের মতো এত সুরক্ষিত শহরে কীভাবে তাকে হত্যা করা হলো? এই হত্যার পেছনে কে বা কারা জড়িত?
ইরান ও হামাসের প্রধান ও চিরশত্রু একজনই। সেটা হলো ইসরায়েল। তাই ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পরপরই অভিযোগের তির প্রথমই ইসরায়েলের দিকে গেছে। হামাস বলছে, ইসরায়েলি হামলায় তাদের নেতা নিহত হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
অন্যদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল প্রেসি টিভি জানিয়েছে, তেহরানে গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন ইসমাইল হানিয়াহ। বুধবার (৩১ জুলাই) স্থানীয় সময় ভোরে তার বাসভবনে একটি হামলা হলে হানিয়াহ ও তার এক দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এক বিবৃতিতে আইআরজিসি জানিয়েছে, বুধবার সকালে তেহরানে হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াহর বাসভবন হামলার শিকার হয়েছে। এই ঘটনায় তিনি ও তার এক দেহরক্ষী শহীদ হয়েছেন। কীভাবে এই হামলা হলো তা নিয়ে তদন্ত চলছে। দ্রুতই তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।
লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হিজবুল্লাহ সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইট আল মায়াদিন দাবি করেছে, ইসমাইল হানিয়াকে ইসরায়েল হত্যা করেছে।
তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে এখনো কোনো বিবৃতি দেয়নি। ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকেও কোনো মন্তব্য এখনো আসেনি।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সিনিয়র সদস্য মুসা আবু মারজুক সতর্ক করে বলেছেন, হানিয়াহর হত্যাকাণ্ড চুপচাপ সহ্য করা হবে না।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত এপ্রিলে ঈদের দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি নিহত হন। গাজা শহরের পশ্চিমে একটি শরণার্থী শিবিরে ওই হামলা চালানো হয়। এতে হামাস নেতা হানিয়ার তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মুহাম্মদ এবং তার অন্তত তিন নাতি-নাতনি নিহত হন।
ইসরায়েলের হামলায় হানিয়ের পরিবারের আরও সদস্য এর আগে নিহত হয়েছেন। তার আরেক ছেলে গত ফেব্রুয়ারিতে এবং ভাই ও ভাতিজা অক্টোবরে প্রাণ হারান। এছাড়া গত নভেম্বরে নিহত হন তার এক নাতি।