আমদানি-রফতানির নামে ২৫১ কোটি টাকা আত্মসাৎ, চার্জশিট দাখিল শিগগিরই
ডেস্ক নিউজ:
আমদানি-রফতানির নামে জনতা ব্যাংক থেকে প্রায় ২৫১ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের মামলায় ব্যাংকটির সাবেক ও বর্তমান পাঁচ কর্মকর্তাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শিগগিরই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।
আসামিরা হলেন- ঋণগ্রহীতা মেসার্স ঢাকা ট্রেডিং হাউজের স্বত্বাধিকারী মো. টিপু সুলতান, জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিসের এজিএম মো. মসিউর রহমান (সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার), একই শাখার ডিজিএম শামীম আহমেদ খান, প্রধান কার্যালয়ের এজিএম এ এস জহুরুল ইসলাম, ব্যাংকটির অবসরপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক মো. মনজেরুল ইসলাম (সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক, আমদানি-রফতানি), কমার্শিয়াল অফিসার সাইফুল ইসলাম।
রোববার দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ অভিযোগপত্র অনুমোদন করে কমিশন।
সূত্র জানায়, তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ করেছেন। বর্ণিত সুপারিশের আলোকে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেয় কমিশন।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলসির বিপরীতে মালামাল আমদানি না করে মেসার্স ঢাকা ট্রেডিং হাউজিং লিমিটেডের হিসাব নম্বরে ২৫০ কোটি ৯৬ লাখ ১ হাজার ৪৫৫ টাকা স্থানান্তর করেন। পরে এ অর্থ পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করেন তারা।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা জনতা ব্যাংকের মতিঝিলের স্থানীয় অফিসে ঢাকা ট্রেডিং হাউজিং লিমিটেডের নামে আমদানি-রফতানির এলসি খুলেও মালামাল আমদানি না করে বিপুল এ অর্থ আত্মসাৎ করেন।
২০১০ থেকে ২০১২ সালে এ ঘটনায় ব্যাংকটির ৫ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সংস্থাটি। পরে এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন কমিশনের সাবেক উপ-পরিচালক মো. শামসুল হক।