পোড়া জায়গার জ্বালা-যন্ত্রণা কমাবে নারকেল তেল

স্বাস্হ্য ও চিকিৎসা ডেস্ক:
রান্না করার সময় হঠাৎ হাতে গরম তেল ছিটকে পড়তে পারে। গরম পানি বা ভাতের ফ্যান গালতে গিয়েও অনেক সময় শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছ্যাঁকা লাগে। আবার গরম কড়াই বা খুন্তির ছ্যাঁকাও খেতে পারেন।

আর যেকোনো ছ্যাঁকা লাগলেই ফোসকা পড়ার শঙ্কা যেমন থাকে; তেমনি অসম্ভব জ্বালা-যন্ত্রণাও হয়। পুড়ে যাওয়া স্থানে বিশ্রী দাগও হয়ে যায়। এসব ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে হাতের কাছে বারনল নাও থাকতে পারে।

হঠাৎ পুড়ে গেলে, ছ্যাঁকা লাগলে মা-চাচীরা সাধারণত পোড়া জায়গায় দাঁত মাজার পেস্ট লাগিয়ে দেন। এটি সাময়িক ভাবে জ্বালাপোড়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেও পেস্ট কিন্তু ত্বকের জন্য নিরাপদ নয়। বরং নারকেল তেল ব্যবহার করা সব দিক থেকেই ভালো। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে সে কথা। সহজলভ্য এই তেল মোটামুটি সব বাড়িতেই থাকে। ত্বক এবং চুলের যত্নেও নারকেল তেল মাখা ভালো।

পোড়া জায়গায় নারকেল তেল কী ভাবে কাজ করে?

১. নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই। যা ত্বকের যেকোনো রকম ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে।

২. ত্বকের ক্ষয়ক্ষতি সারাতে সাহায্য করে ফ্যাটি অ্যাসিড। নারকেল তেলের মধ্যে এই উপাদানটিও রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে।

৩ নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যায় দারুণ কাজ দেয় এই উপাদান।

৪. পোড়া জায়গায় সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। সেই সমস্যা রুখে দিতে পারে নারকেল তেল।

৫. ক্ষত শুকিয়ে গেলেও অনেক সময়ে ত্বকে পুড়ে যাওয়ার দাগ থেকে যায়। নারকেল তেল মাখলে এই দাগ ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায়।

ক্ষতে কীভাবে মাখবেন নারকেল তেল?

রান্নাঘরে কাজ করতে গেলে টুকটাক কাটাছেঁড়া কিংবা পুড়ে যাওয়ার মতো অঘটন ঘটতে পারে। মারাত্মক বড় কোনো বিপদ না হলে প্রাথমিক ভাবে জ্বালাপোড়ার কষ্ট কমাতে পারে নারকেল তেল। চট করে সংক্রমণ ছড়াতেও দেয় না। তবে এ সবই ঘরোয়া টোটকা। পোড়ার মাত্রা যদি বেশি হয়, সেক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)