‘আমাকে ছেড়ে অন্য ছেলের সঙ্গে থাকে, আমার বউকে ছাড়বেন না কেউ’

ডেস্ক নিউজ:
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্ত্রীকে দায়ী করে চিরকুট লিখে ঘরের মধ্যে ফ্যানের সঙ্গে স্ত্রীর ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেন হাসিব নামে এক যুবক।

বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে মহিপুর থানার বিপিনপুর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডস্থ কালাম আকনের ভাড়াটিয়া বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মৃত হাসিব কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হারিচ হাওলাদারের ছেলে।

হাসিবের মরদেহের পাশে পাওয়া যায় একটি চিরকুট। সেখানে লেখা ছিল, ‘আমার নাম মো. হাচিব। আমার মরণের জন্য দায়ী আমার বউ, তার বাবা-মা ও তার পরিবার। তারা আমাকে অপমান করছে। আমার বউ আমাকে ছেড়ে অন্য ছেলের সঙ্গে থাকে, তাই আমার বউকে ছাড়বেন না কেউ। খুব ভালোবাসি।’

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে মহিপুরের বিপিনপুর এলাকার লালমিয়ার মেয়ে আঁখি আক্তারকে বিয়ে করেন হাসিব। প্রতিনিয়ত পারিবারিক কলহ, ঝগড়া, মারধর চলত তাদের সংসারে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে হাসিব তার স্ত্রী আঁখি আক্তারকে মারধর করেন। তারপর আঁখি আক্তার তার বাবার বাড়ি চলে যান। এতে অভিমান করে চিরকুটে তার মৃত্যুর জন্য স্ত্রীকে দায়ী করেন এবং তার শ্বশুর-শাশুড়িকেও এই মৃত্যুর জন্য অভিযুক্ত করে ঘরে ফ্যানের সঙ্গে স্ত্রীর ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেন হাসিব।

হাসিবের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিয়ের কয়েক দিন পার হতেই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেয় হাসিব। শাশুড়ির সহযোগিতায় হাসিব তার শ্বশুরবাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় ওঠেন গত ছয় মাস আগে। আর সেই ভাড়া বাসায়ই আত্মহত্যা করেন হাসিব।

হাসিব পেশায় একজন জেলে ছিল। শুরুতে বাবার সঙ্গে সাগরে মাছ ধরতেন তিনি। কিন্তু বিয়ের পর সংসারে কলহ শুরু হলে হাসিব মাছের আড়তে কাজ করতেন।

মহিপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা সে বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)