মিথ্যা মামলায় ষড়যন্ত্রের স্বীকার হলেন সাংবাদিক আব্রাহাম লিংকন
মোঃ আলফাত হোসেনঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের কালিঞ্চী গ্রাম থেকে বাংলাদেশ সিমান্তরক্ষী বাহিনীর কৈখালী বিজিবির সদস্যরা সাজিদা বেগম (১৯) ও হাজরা বেগম (২১)নামে দুই রোহিঙ্গা নারী আটক করেন ৷ সাজিদা কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বাঁশনল ক্যাম্পের সদস্য। আর হাজরা বেগম (২১) কক্সবাজার সদরের ১৮ নং ক্যাম্পের সদস্য ।
এ ঘটনায় ঐ দুই রোহিঙ্গা নারী সহ মানব পাচারকারী চক্রের হোতা আব্দুল্লাহ তরফদারকে আটক করে শ্যামনগর থানা-পুলিশে হস্তান্তর করেন সিমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সদস্যরা।
বিষয়টি নিয়ে শ্যামনগর থানায় একটি মামলা দ্বায়ের করেন বিজিবি সদস্যরা,মামলা নাম্বার -১১/২৩৩৷ এই মামলায় ২ নং আসামি হিসাবে সাংবাদিক আব্রাহাম লিংকনকে মামলা জড়িয়ে দেন তারা ৷ জানা যায় ,গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাতনদী পত্রিকার প্রতিনিধি আব্রাহাম লিংকন গত কয়েকদিন আগে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ মাছ পাচারের বিষয় জানতে পেরে অনুসন্ধান শুরু করেন৷এই অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে উপজেলার কৈখালী আর,বিজি,বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার লিয়াকত ও একটি চক্র ভেটখালী দিয়ে বিশাল বড় ইলিশ মাছের চালান অবৈধ ভাবে ভারতে পাঠানো হবে৷ প্রায় তিন হাজার কেজি মাছ, ত্রিশ লাখ টাকা মূল্য। খুলনার আরিফ ও সাতক্ষীরার জাহাঙ্গীর এই মাছ এদেরকে ম্যানেজ করে স্থানীয় চোরাকারবারিদের সহযোগিতা নিয়ে ভারতে পাঠানো হবে ৷ তারই প্রেক্ষিত পরিকল্পিত ভাবে সাংবাদিক আব্রাহাম লিংকনকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয় বলেন তিনি৷গত ১৫ জুলাই মামলা রুজুর আগে আব্রাহাম লিংকন নিজস্ব কাজে ঢাকাতে অবস্থানরত ছিলেন যার সত্যতা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জানা যাবে ৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান,বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার লিয়াকত নিজের এলাকায় চাকুরি করার ফলে ইচ্ছে মত করে চোরাকারবারিদের সাথে সম্মিলিত ভাবে কাজ করে আসছে ৷
তবে বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার লিয়াকত বিষয়টি অস্বীকার করে, থানা-পুলিশের উপর দ্বায়ভার চাপিয়েছেন ৷
বিষয়টি নিয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ সাথে যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্ত্য নেওয়া সম্ভব হয়নি৷