ভাইয়ের হামলায় আহত বোন

স্টাফ রিপোর্টার: ভাইয়ের মারপিটের হাত থেকে মাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন একনারী। গত ১৩ জুলাই শনিবার সন্ধ্যায় ধনী হওয়ার ইউনিয়নের কোমরপুর এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শাহনারা বেগমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শাহানারা বেগমের সৎ ভাই ধূলিহর ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামের মৃত শামসুর সরদারের ছেলে ধূলিহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কবিরুল ইসলাম (৪৮) ও তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন (২৮) ভুক্তভোগীর মাতা তারাভান বিবিকে ঘটনার দিন দুপুরের সময় মারধর করে। খবর পেয়ে ভুক্তভোগী সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে কবির মাস্টারের কাছে তার মাকে মারধরের কারণ জানতে চাইলে আসামীরা হাতে লোহাররড, দা নিয়া তাকে মারপিট করতে আসে। ভুক্তভোগী শাহানারা জানান, ‘এ সময় আমি প্রতিবাদ করিলে ১নং আসামী দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় কোপ মারলে হাড়কাট গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। কবির মাস্টার দা দিয়ে পুনরায় হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারলে আমার মাথার ডান পাশে লাগিয়া হাড়কাটা গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। অন্যদিকে কবির মাস্টারের স্ত্রী লোহাররড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় আঘাত করলে আমি ডান হাতে ঠেকালে ডান হাতের কনুইয়ের উপর লেগে থেতলানো জখম হয়। এছাড়াও কবিরের স্ত্রী সাবিনা বেগম লোহাররড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করিয়া আমার জান উরুতে, বাম উরুতে, পাছায় সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা জখম করে। আমার ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।’

 ভুক্তভোগী শাহনারা বেগম আরো জানান, ‘আমার মাতা তার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে বসবাস করে। আমার সৎ ভাই ও সৎ ভাইয়ের স্ত্রী আমার মায়ের ভিটায় বসবাস করে থাকে। আমার মাকে ঠিকমত খাওয়া পরা দেয় না। শারীরিক মানসিক নির্যাতন করে। আমার মাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত আছে। তাছাড়া আমার বাবা মারা যাওয়ার পরেও আমার ফারাজী সূত্রে প্রাত সম্পত্তির কোন ভাগ দেয়না। আমি আমার প্রাপ্য অংশ বুঝে নিতে চাইলে আসামীরা বিভিন্ন তালবাহনা করতে থাকে। ইতিপূর্বে একাধিকবার আসামীরা আমার মাকে মারধর করিয়াছে। স্থানীয় লোকজন একাধিকবার বসাবসি করলেও আসামীরা কোন বিচার শালিস মানে না। এলাকার কাউকে মানে না।এ বিষয়ে জানতে চাইলে জুলি হওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কবিরুল ইসলাম জানান। জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবাড়ি কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)