আশাশুনির ধাপুয়া নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণে ধীরগতিতে জনদুর্ভোগ চরমে
জি এম মুজিবুর রহমান ঃ আশাশুনি উপজেলার কুল্যা টু দরগাহপুর সড়কে কাদাকাটি-দরগাহপুর ইউনিয়নের সংযোগস্থলে ধাপুয়া নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ কাজে ধীর গতির কারনে জন দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। নির্মান কাজ ১ বছর ৪ মাস অতিবাহিত হতে চললেও কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে তার কোন সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছেনা।বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংক (আইডিএ) এর অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর সাতক্ষীরার তদারকিতে ২ কোটি ৯৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬৮৮ টাকা ব্যয় বরাদ্দে প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রোলার ব্রিজ (এসইউপিআরবি) প্রকল্পের আওতায় কাজ শুরু করা হয়। ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও অতিরিক্ত ৫ মাস অতিক্রান্ত হলেও কাজ শেষের কোন সময়ক্ষণ নির্দিষ্ট করে পাওয়া যাচ্ছেনা। সম্প্রতি বৃষ্টি বাদলার কারনে ব্রিজ এলাকার বিকল্প সড়ক ব্যবহার খুবই হুমকীতে রয়েছে। ফলে জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই বলা যায় এখানে যানবাহন দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে থাকে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দুর্ঘটনার ককারনে দুইজন নিহতর ঘটনা ঘটেছিল। এছাড়া প্রতিদিন ছোটখাট দুর্ঘটনা ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে আসছে।কুল্যা টু বাঁকা (দরগাহপুর) বাজার প্রায় ২৩ কিলো মিটার সড়ক পথ খুবই ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ। সড়কে প্রতিদিন শত শত ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে থাকে। যাতয়াতের মাঝ পথে ধাপুয়া নদীর ওপর ব্রিজটি নির্মান কাজ চলছে। এই ব্রিজ দিয়ে সাতক্ষীরা টু বাকা সড়কের যাত্রীবাহী মিনিবাসসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে থাকে। দীর্ঘদিন ব্রিজটি জরাজীর্ণ হয়েছিল। প্রায় ১ বছর ৪ মাস পূর্বে ব্রিজ পুনঃনির্মাণ কাজে হাত দেয়া হয়। রাস্তা কেটে অ্যাপ্রোচ রাস্তা করা হয়। কিন্তু মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায়, মাসের পর মাস কাজ বন্ধ থাকায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা বিরাজ করছে। ফলেরহাজার হাজার মানুষের চরম দুর্গতি লেগেই আছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা অ্যান্ড ড্রেসিং সলিউশন কাজটি পেয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে সেতুর নির্মাণ কাজ আবারও ৪ মাস ধরে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
উপসহকারী উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, বৃষ্টির পানির কারণে বিকল্প রাস্তাটি ভেঙে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৃষ্টির কারণে এ ব্রিজের তলায় কাজ সম্ভব হচ্ছেনা। আবহাওয়া ভালো হলে ও পানি কমে গেলেই দ্রুত সময়ে কাজ করা হবে। ব্রিজের ঢালাইয়ের সব ইকুইপমেন্ট আনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
Please follow and like us: