আবারো কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনা

স্পোর্টস ডেস্ক:
নাম ও ঐতিহ্যের ভারে কানাডার চাইতে যোজন যোজন এগিয়ে আর্জেন্টিনা। তবে দল হিসেবে কানাডা কতটা উন্নতি করেছে, সেটারই প্রমাণ দিল ম্যাচজুড়ে। যদিও চাপের মুখে দারুণ খেলে শেষ হাসি হেসেছে আলবিসেলেস্তেরা।

মেটলাইফ স্টেডিয়ামে কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসরের প্রথম সেমিফাইনালে কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। দলের হয়ে একটি করে গোলের দেখা পেয়েছেন জুলিয়ান আলভারেজ ও লিওনেল মেসি।

ম্যাচে গোলের জন্য ১১টি শট নিয়েছে আর্জেন্টিনা, যেখানে লক্ষ্যে ছিল তিনটি। অন্যদিকে নয়টি শট নেয়া কানাডা মাত্র দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে। বল দখলের লড়াইয়ে ৫১ শতাংশ এগিয়ে আলবিসেলেস্তেরা, কানাডার কাছে ছিল ৪৯ শতাংশ সময়।

বুধবার ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে কানাডা। বেশ কয়েকবার আকাশী-নীল শিবিরে হামলাও করে তারা। তবে ফিনিশিং দুর্বলতায় সাফল্য পায়নি দলটি। বলা যায় আলবিসেলেস্তেদের বেশ চাপে রাখে লাল জার্সিধারীরা।

খেলার ধারার বিপরীতে ২২ মিনিটে গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠ থেকে ডিফেন্স চেরা পাস দেন রদ্রিগো ডি পল। যা রিসিভ করে দারুণ দক্ষতায় জালে জড়ান জুলিয়ান আলভারেজ। এতে কিছুটা স্বস্তি নেমে আসে আকাশী-নীল শিবিরে।

তবে প্রথমার্ধের বাকি সময়েও বেশ কয়েকবার আর্জেন্টিনাকে চাপে ফেলে কানাডা। বিপরীতে লিওনেল মেসিও কয়েকবার গোলের জন্য শট নেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো দলই আর গোলের দেখা পায়নি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের দেখা পান মেসি। ৫১ মিনিটে গোলের জন্য শট নেন এঞ্জো ফার্নান্দেজ। দারুণ বুদ্ধিমত্তায় সেখানে আলতো ছোঁয়ায় গোলরক্ষককে বোকা বানান মেসি। কোপার চলতি আসরে এটাই তার প্রথম গোল।

এ নিয়ে কোপা আমেরিকার ছয়টি আসরে গোল করার রেকর্ড গড়েছেন মেসি। এর আগে ২০০৭, ২০১৫, ২০১৬, ২০১৯ ও ২০২১ আসরে গোল করেছিলেন সর্বকালের সেরা এ ফুটবলার। এই গোলের পর আর্জেন্টিনার জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়।

ম্যাচের বাকি সময় আর্জেন্টিনার রক্ষণে বেশ কয়েকবার কাঁপন ধরায় কানাডা। কিন্তু যথারীতি দেওয়াল হয়ে দাঁড়ান এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। শেষ পর্যন্ত ২ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মেসির দল।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)