কলারোয়ার রাজপুর চৌরাস্তা থেকে শাবানার মোড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা বেহাল দশা
জুলফিকার আলী: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ৬নং সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের রাজপুর চৌরাস্তা থেকে শাবানার মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা বেহাল দশা। এই জনপথটি রয়েছে আজও অবহেলিত। দীর্ঘদিন থেকে অবহেলিত ছিল গ্রামের এই কাঁচা রাস্তাটি,এখনো কোনো কর্তৃপক্ষের সু-নজরে আসেনি জনবহুল রাস্তাটি। শুকনো মৌসুমে টেনে হেঁচড়ে চলাচল করলেও বর্ষা এলেই চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় এলাকার মানুষকে। বর্ষায় কর্দমাক্ত সড়কে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা সহ রাস্তায় চলাচল কারী সাধারণ মানুষ পড়েছে বিপাকে। এলাকাবাসীরা বলেন-আমাদের দুর্ভোগের সীমা নেই। দীর্ঘদিন ধরে এসব কাঁচা রাস্তা পাকা করন না করায় স্থানীয় জনগনের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে সামান্য বৃষ্টি আসলেই রাস্তার দুই পাশে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয় এবংমাঝের অংশের মাটি সরে গিয়ে ছোট, বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকই সামাজিক যোগাযোগে রাস্তার ছবি পোষ্ট করে স্থানীয় প্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও পরিত্রাণ পাচ্ছে না এমন অবস্থার। তাইতো এমন বেহাল কাঁচা সড়ক দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন যানবাহন সহ পথচারী মানুষগুলো। সরজমিনে দেখা গেছে, গ্রামের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবন জীবিকা ও উপজেলার সঙ্গে সহজে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য এ রাস্তাটি সব চেয়ে বেশি জনপ্রিয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখনো হয়নি পাকা কিংবা পিচের ব্যবস্থা। এসব রাস্তায় অনেক সময় বৃষ্টি হলেই হাটু পানি জমে কাদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দেশ স্বাধীনের পর থেকে আমাদের গ্রামের রাস্তাটি কাঁচা হয়ে আছে। একটু বৃষ্টি হলেই কাদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। জনপ্রতিনিধিদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। শুধু মাত্র নির্বাচন আসলেই তাদের মুখে কথার জোয়ার আসে আমি ভোটে নির্বাচিত হলে উপর মহলের কাছে সর্ব প্রথম রাস্তার পাকা করা নিয়ে কথা বলবো। কিন্তুু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস নির্বাচনে জয় লাভ করলেই আর দেখা মেলেনা এমন নেতাদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, এ রাস্তা নিয়ে আমরা অনেক বিপদে আছি। বর্ষা মৌসুম আসলে চলেনা অটো কিংবা ভ্যান। জরুরী মুহুর্তে উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে কোন রুগীকে নিতে চাইলেও পাওয়া যায়না কোন যানবাহন। তাইতো পায়ে হেটে যেতে হয় সবাইকে তাদের গন্তব্য স্থলে। এ যেন অথৈ সমুদ্রে সাতার না জানার মতো। বিগত দিনে জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিয়েছিলেন আমাদের এই রাস্তাটি পাকা করে দিবেন। কিন্তু তার মেয়াদ কাল শেষ হয় আমাদের এই রাস্তাটি পাকাকরন হয়না। আবারও আমরা আশ্বাস পেয়েছি। আমাদের এলাকার সন্তান ফিরোজ আহমেদ স্বপন এবার সংসদ সদস্য হয়েছেন। তিনি আমাদের দুঃখ বোঝেন। আশা করছি অতিশীঘ্রই আমাদের রাস্তাটি পাকাকরন করবেন বলে আমরা বিশ্বাসী। এই রাস্তাটি পাকাকরন হলে স্কুলগামী ছাত্র ছাত্রী, এলাকার কৃষক, সহ সর্ব শ্রেণীর পেশার মানুষের পুষে রাখা কষ্ট লাঘব হবে বলে মনে করেন তারা।