যৌন ও চর্মরোগ সারাতে কার্যকর কাঠগোলাপ ফুল
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ডেস্ক:
কাঠগোলাপের ইংরেজি নাম ‘Plumeria। তবে স্থানীয়রা এটিকে Frangipani নামে চিনেন। ১৭তম শতাব্দীর যাত্রাপথে ফ্রান্সের উদ্ভিদবিদ ‘Charles Plumier’ সর্বপ্রথম এই ফুলটির অস্তিত্ব সবার সামনে তুলে আনেন। তিনিই ফুলটির বিভিন্ন জাত বর্ণনা করেন। তাই উনার নামানুসারে ফুলটির নাম রাখা হয় ‘Plumeria’।
তবে লেখক পিটার লোয়ারের মতে, ইনিই প্রথম ব্যক্তি নন, যিনি এই ফুলটির প্রথম সন্ধান পান। এই ফুলটি সর্বপ্রথম খুঁজে পাওয়ার সম্মাননা যাবে একজন স্প্যানিশ খ্রিষ্টান পাদ্রী ‘Francisco de Mendoza’ এর দিকে, যিনি ফুলটি খুঁজে পান ১৫২২ সালে।
সারা বিশ্বে কাঠগোলাপ ফুলটি পরিচিত এর অসাধারণ সুঘ্রাণ, বৈচিত্র্যময় আকার আর তুলতুলে মিহি নরম অনুভবের জন্য। দুধের মতন সাদা,হলুদ, গোলাপি সহ ফুলটিতে রয়েছে নানান রঙের বাহার। সাধারণত এই ফুল গাছটির উচ্চতা ৩০ থেকে ৪০ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ হওয়ায় গাছের আকার কিছু মাঝারি ধরনের হয়।
চলুন জেনে নেয়া যাক কাঠগোলাপের উপকারিতা সম্পর্কে-
১. নারকেল তেলের সঙ্গে কাঠগোলাপ গাছের আঠালো কষ মিশিয়ে গায়ে মাখালে চর্মরোগ সেরে উঠে।
২. পেটে গোলযোগ দেখা দিলে এর প্রাণরস হজমীকারক ওষুধ হিসেবে পেটের ফোলাভাব ও পেটে ব্যথার প্রতিকারেও ব্যবহার করা যায়।
৩. এছাড়াও এর ফুল শ্বসনতন্ত্রের (যেমন: হাঁপানি) চিকিৎসায়ও ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪. যৌনরোগ দেখা দিলে কাঠগোলাপের ছাল বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দিলে তা অতি দ্রুত সেরে যায়।
৫. ফুলগুলোকে পানি বা রসে সিদ্ধ করে সালাদ তৈরি করে ব্যবহার করা যায় অন্ত্রের গতিবিধি, প্রস্রাবের প্রবাহ এবং গ্যাস এবং কফ নিয়ন্ত্রণের জন্য।
৬. লাল কাঠগোলাপ প্রজাতির পাতাগুলো ক্ষত সারানো এবং শীতল সংমিশ্রণ তৈরিতেও ব্যবহার হয়।
৭. কাঠগোলাপ এর ফুল ও কাণ্ড জ্বর, রক্ত আমাশয়, হুপিং কাশি ইত্যাদির নিরাময়ের ঐতিহ্যবাহী চীনা ঔষধ তৈরিতেও কাজে লাগে।
৭. যক্ষ্মার ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করতে এটিকে অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
৮. এছাড়াও উদ্ভিদটিকে ছত্রাকনাশক, ভাইরাস-প্রতিরোধী, বেদনানাশক, খিঁচুনি-রোধক ঔষধ হিসেবেও দেখানো হয়।